ঢাকা: ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা করতে করতে নারী-পুরুষসহ ৬০/৭০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ঠেকিয়ে দিলে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে অগ্রসর হতে চেষ্টা করে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপি জানায়, মঙ্গলবার ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার একটি বিক্ষোভকারী দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার সময় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে তাদের ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। নিকটবর্তী স্থানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা উল্টো পুলিশের উপর চড়াও হয়ে উদ্ধত ও মারমুখী আচরণ আরম্ভ করে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের নখের আঁচড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয় এবং আইন শৃঙ্খলারক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। তাদের হামলায় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের মাধ্যমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকেলের দিকে পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৫
এজেডএস/এমজে