নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের পেচাইন এলাকায় বাঁধন আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
রোববার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারদিন চিকিৎসাধীন শেষে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারের দাবি, স্বামী রাকিব গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বাঁধন আক্তারকে। এ ঘটনায় স্বামী রাকিব হোসেন ঘটনার দিন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন বুধবার তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহত গৃহবধু রাউতগাঁও গ্রামের মো. বাদল মিয়ার মেয়ে। ছয় মাস আগে পার্শ্ববর্তী পেচাইন গ্রামের মো. রাকিব (৩০) এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে তাদের বিয়ে হয়। নিহত গৃহবধূ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।
নিহতের বাবা বাদল মিয়া জানান, তার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি পেচাইন গ্রাম থেকে ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে বাঁধন অসুস্থ। পরে তারা শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বাঁধনের ননদ ও তার স্বামী ছাড়া কাউকে পাননি। তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে চারদিন চিকিৎসাধীন থেকে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু হয়।
তার দাবি ,পারিবারিক কলহের জেরে তার মেয়েকে গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। তার মেয়ের মৃত্যুর বিচার দাবি করেন।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, গৃহবধূকে গলা চেপে আহত করার পর স্বামী থানায় এসে নিজেই ধরা দিয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৫
এমআরপি/জেএইচ