ঢাকা, সোমবার, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৩ মার্চ ২০২৫, ০২ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাইদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৫
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাইদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ

ঢাকা: ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ পণ্ড করতে চালানো ক্র্যাকডাউন এবং জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় পরবর্তী বিক্ষোভে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নির্মমতাসহ বিগত সরকারের শাসনামলের বিচারবর্হিভূত সব হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।  

রোববার (২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান সাক্ষাতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এ অনুরোধ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব নৃশংসতা যথাযথভাবে নথিভুক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। এগুলো ডকুমেন্টেশন না হলে সত্য জানা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কঠিন।

এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক লুইস বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশের সক্ষমতা গড়ে তুলতে এবং কারিগরি সহায়তা দিতে জাতিসংঘ প্রস্তুত।

সত্য জানা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটাই ক্ষত নিরাময় এবং সত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের জন্য জাতিসংঘকে ধন্যবাদ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, জাতিসংঘ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় আমরা আনন্দিত। এটি কোনো সহজ কাজ ছিল না। তারপরও সময়মতো এটি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস জানান, আগামী ৫ মার্চ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদনটি সদস্য দেশগুলোকে অবহিত করবেন।

আগামী ১৩-১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গুয়েন লুইস আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সরবরাহ কমে যাওয়ার সংকটটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আসবে।

আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, প্রতি মাসে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। অর্থের সংকুলান নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৫
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।