ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটিতে উৎসুক জনতার ভিড়। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচিতে বিক্ষুব্ধ জনতা গুঁড়িয়ে দিয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি। গুঁড়িয়ে দেওয়া ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি ঘিরে উৎসুক বিপুল সংখ্যক জনতা ভিড় করেছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান করে এ চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকা ও দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িটির বর্তমান অবস্থা দেখতে এসেছেন।

আগতদের মধ্যে কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়েও দেখতে এসেছেন বাড়িটির বর্তমান অবস্থা। অনেকেই ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখছেন, কেউবা বাড়িটির ছবি তুলছেন আবার কেউবা মোবাইলে ধারণ করছেন নিজেদের পরিবার পরিজনের ছবি অথবা সেলফি।

অন্যদিকে কেউ কেউ বাড়িটির ধ্বংস স্তূপ থেকে খুলে নিচ্ছেন ইট, কাঠ, লোহা জাতীয় সামগ্রী। কেউবা আবার বাড়ির ভেতরের গাছগুলোও লাকড়ি হিসেবে ব্যবহারের জন্য কেটে নিচ্ছেন।  

মিরপুর ১ নম্বর থেকে আলম নামে প্রায় ৬০ ঊর্ধ্ব এক ব্যক্তি গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িটি দেখতে এসেছেন। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমাদের ২০০ বছর শাসন করেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন ব্রিটিশদেরও ছাড়িয়ে গেছে। একজন মানুষ কীভাবে এতটা স্বৈরাচার হতে পারে, তার প্রতি মানুষের কতটা ক্ষোভ জন্ম হলে এভাবে বাড়িটি ধ্বংস করা যায় সেটাই দেখছি।  

বাড়িটির নিচতলায় হাতুড়ি এবং সাবল দিয়ে ইটের দেয়াল ভেঙে তার ভেতর থেকে লোহা বের করছিলেন মজাহার নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, আমরা লোহাগুলোর ভাঙারির দোকানে বিক্রির জন্য বের করে নিচ্ছি। এগুলো বিক্রি করলে কিছু টাকা পাওয়া যাবে, এছাড়া আর কিছু না।  

আক্তার নামে আরেক ব্যক্তি কাছে গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িটি এভাবেই রেখে দেওয়া উচিত। কারণ মানুষ বাড়িটি দেখে স্বৈরাচারের শেষ পরিণতি কি হয় তা জানতে পারে এবং পরবর্তীতে আর কোনো সরকার যেন শেখ হাসিনার মতো স্বৈরাচার না হয়ে উঠতে পারে সেজন্যই এ বাড়িটি এভাবে রেখে দেওয়া উচিত।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচার করা হবে, এমন খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে প্রথমে আগুন দেয়, তারপর ক্রেন-বুলডোজার-এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় শেখ মুজিবের বাড়ি।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন তিনি। এখনো তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।