ঢাকা, শনিবার, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়াতে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫
ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়াতে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা হৃদয় হাওলাদার ও রাসেল হাওলাদার

ফরিদপুর: ইতালির যাওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে মানব পাচারকারী মাফিয়া চক্র।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় মাফিয়া চক্র দুই যুবককে হত্যার পর পরিবারের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠিয়ে দেয়।

 

হত্যার সংবাদটি পরিবার ও গ্রামবাসীর মাঝে ছড়িয়ে পড়লে বাড়িতে শোকের মাতম বইতে শুরু করে ।

নিহত দুই যুবক হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু মাতুব্বরের ছেলে হৃদয় মাতুব্বর (২২) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৩)।  
 
এ বিষয় হৃদয়ের বাবা মিন্টু মাতুব্বর বলেন, দু’মাস আগে আমাদের গ্রামের আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে লিবিয়া হয়ে ইটালি পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যায়। সেখানে মাফিয়া চক্র হৃদয়কে হত্যা করে।

এঘটনার বিষয়ে হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে  আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা  করেছে।  

পাশের গ্রামের নিরু খলিফা বলেন, রাসেল ও হৃদয় নামের দুই জনকে গুলি করে লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। তাদের শরীরে বালি মাখাসহ গুলি চিহ্ন রয়েছে। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদেরকে নির্যাতন করে হত্যা করে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।