নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে সেচ পাম্প স্থাপন নিয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ক্ষুদ্র সেচ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন (৪৫) ও সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমানের (৪০) নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বড়াইগ্রাম আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মো. রাশেদুল ইসলাম।
এসময় আদালতের বিচারক তৌহিদুর রহমান সুমন শুনানি শেষে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আইনাল হক সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, তার কৃষি জমিতে সেচের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত সেচ প্রকল্পের আওতায় একটি সেচ পাম্পের জন্য বিএডিসি কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। এজন্য তিনি কয়েক দফায় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমানকে তাদের দাবি অনুযায়ী ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন।
কিন্তু দিনের পর দিন ঘুরিয়েও তার প্রকল্পে সেচ পাম্প না বসিয়ে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে অন্য মৌজায় সেচ পাম্প স্থাপন করে সাজ্জারুল ইসলাম শুভ নামে একজনকে ম্যানেজার নিয়োগ করেন। যার ওইখানে কোনো জমি নেই। দীর্ঘদিন ধরে সেচ পাম্প না পেয়ে গত ২৫ জানুয়ারি ওই দুই কর্মকর্তার কাছে গিয়ে তাদের দেওয়া ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ফেরত চান। এ সময় ওই টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন তারা। এ ঘটনার প্রমাণ ও সাক্ষী আছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে নাটোর বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মামলা হয়েছে শুনেছেন। তবে অভিযোগের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। তিনি মামলার বাদীকে চেনেন না এবং এ ধরনের কোনো প্রকার অনিয়ম হয়নি। তদন্ত করলে ঘটনার সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি-ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসিবুল্লাহ’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
আরএ