ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে দোকান থেকে ২৫০ ভরি স্বর্ণ চুরি, পুলিশ বলছে ‘রহস্যজনক’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
সিলেটে দোকান থেকে ২৫০ ভরি স্বর্ণ চুরি, পুলিশ বলছে ‘রহস্যজনক’ সিলেটের এই শপিংমল থেকে স্বর্ণ চুরি হয়

সিলেট: সিলেট নগরের সুরক্ষিত অভিজাত শপিং সিটি আল হামরার চতুর্থ তলায় ‘নুরানি জুয়েলার্স’ নামক দোকানের তালা ভেঙে ২৫০ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। যার বাজারমূল্য সাড়ে ৩ কোটি টাকা হবে দাবি করেছেন জুয়েলারি দোকানের মালিক দেওয়ান মো.জাবেদ চৌধুরী।

চুরির এই ঘটনাকে রহস্যজনক মনে করছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে অথবা সকালে কোনো এক সময় এই চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির পর চোরচক্র দোকানের ভেতরে থাকা ডিসি ক্যামেরা ও ডিভিআর খুলে নেয় এবং সার্টারে নতুন তালা ঝুলিয়ে চলে যায়। সকাল ১১টার দিকে দোকানের মালিক-কর্মচারীরা নতুন তালা ভেঙে ঢুকে চুরির ঘটনাটি দেখতে পান। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

নুরানি জুয়েলারির স্বত্বাধিকারী দেওয়ান মো.জাবেদ চৌধুরী বলেন, দোকানে প্রায় ২৫০ ভরি স্বর্ণ ছিল। চোরেরা সব লুট করে দিয়ে সার্টারে ভাঙা তালা সরিয়ে নতুন তালা ঝুলিয়ে দেয়। দোকানের ভেতরে ডিভিআরসহ সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গেছে চোরের দল। সুরক্ষিত এই মার্কেটে এটাই প্রথম কোনো দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। তবে পুলিশ শপিং মলের অন্যান্য সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে চোর শনাক্তের চেষ্টা করছে।

সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আল হামরা শপিং সিটির দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন বলেন, মার্কেটে ২২ জন সিকিউরিটি ২ শিফটে কাজ করেন। রাতে প্রতিটি তলায় ২ জন করে সিকিউরিটি দায়িত্বে থাকেন। চুরি হওয়া দোকানটি শপিং সিটির ৪র্থ তলায়। ওই তলায় ২টি ক্যামেরা নষ্ট পাওয়া গেছে। এছাড়া বাকি ক্যামেরাগুলো সচল ছিল। এ বিষয়ে রাত আজ ৮টায় জরুরি ডাকা হয়েছে। সব সিসি ক্যামেরাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় মার্কেটের কেউ জড়িত আছে কিনা, সেটাও মাথায় রেখে আমরা পদক্ষেপে যাচ্ছি।  

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, স্বর্ণের দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ যাবত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে কারো মুভমেন্ট পাইনি। নিরাপত্তা প্রহরীরাও বলছেন, সার্টার খুলে বেরিয়ে গেলেও শব্দ মিলতো, তাও শুনতে পাননি তারা। যে কারণে চুরির এই ঘটনাটি রহস্যজনক মনে করছেন তিনি। এই ঘটনায় (রাত ৯টা পর্যন্ত) কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অবশ্য দোকান মালিকের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
এনইউ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।