ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রুমায় কেএনএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানে যা যা পাওয়া গেল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
রুমায় কেএনএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানে যা যা পাওয়া গেল

বান্দরবান: গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়া নামক এলাকায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের কেএনএ শাখার আস্তানায় বিশেষ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি অপারেশন দল।

একটি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর)  ভোরে মুনলাই পাড়ার উত্তর পশ্চিমে রুমা খালের পার্শ্ববর্তী লাইচেংয়াই নামক আমবাগানে কেএনএ সদস্যরা অবস্থান করছেন-খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সেখানে অভিযানে গেলে কেএনএ’র সন্ত্রাসীরা তাদের অস্ত্র-সরঞ্জামাদি ফেলে দুর্গম পাহাড়ে পালিয়ে যান।


 
এসময় এলাকাটি তল্লাশি করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা একটি এসএমজি (ম্যাগাজিনসহ), দুটি বন্দুক (১৫৯ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি কার্তুজ ভর্তি বেল্ট), একটি বাইনোকুলার, দুটি ওয়াকিটকি সেট, তিন জোড়া কেএনএ ইউনিফর্ম, এক জোড়া বুট, একটি হ্যান্ডকাফ, ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরিতে ব্যবহৃত স্প্রিন্টার ও পাঁচটি স্মার্ট ফোন জব্দ করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

২০২০ সাল থেকে পার্বত্য জেলার বম জনগোষ্ঠীর কিছু বিপথগামী যুবক কেএনএফ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। আর তাদের সশস্ত্র কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় তাদের নিমূর্লে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।  
এদিকে অভিযানে এ পর্যন্ত কেএনএফের সর্বমোট ১২০ জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। আর তাদের নামে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় হয়েছে বেশ কয়েকটি মামলা। কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি ( কেএনএ ) হচ্ছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সশস্ত্র শাখা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।