ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেন

মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া নিজেই নিজের বুদ্ধিমত্তাকে সম্প্রসারিত করতে পারে এমন যে কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিষয়ে বিজ্ঞানীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই স্বায়ত্তশাসিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে তুলতে পারে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেই নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সম্প্রসারিত করতে পারে (অটোনোমাস ইন্টিলিজেন্স), মানুষের কোনো হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে, তার ব্যাপারে আমরা বৈজ্ঞানিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, তারা যেন এক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার আগে মানুষের ওপর এর প্রভাব সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে অগ্রসর হন। আমাদের ধারণা অটোনোমাস ইন্টিলিজেন্স মানুষের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলতে পারে।

সতর্কতার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের সুফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অভাবনীয় বিকাশ এবং এর বহুমাত্রিক প্রয়োগে বাংলাদেশ বিশেষভাবে আগ্রহী। আমাদের তরুণ সমাজ জেনারেটিভ আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সন্সের সম্ভাবনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত। একজন বিশ্ব নাগরিক হিসেবে তারাও চায় নতুন পৃথিবীতে নিয়োজিত হতে, কর্মক্ষম হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মতো বৃহৎ তরুণ জনগোষ্ঠীর দেশ যেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগজনিত অর্জিত সুফল থেকে পিছিয়ে না পড়ে, বিশ্ব সম্প্রদায়কে তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে, নিশ্চিত করতে হবে যেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে কর্মক্ষেত্রে মানুষের চাহিদা সংকুচিত হয়ে না যায়।

তিনি বলেন, ক্রমপরিবর্তনশীল কর্মজগতে (ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক) একজন তরুণকে প্রতিনিয়ত নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হয়; এবং কর্মপরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শিখতে হয়। এজন্য বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হচ্ছে, তখন আমরা শিক্ষা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা লাভের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছি।

বাংলাদেশের তরুণ শ্রম শক্তির কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্রতি বছর প্রায় পঁচিশ লক্ষ তরুণ-তরুণী বাংলাদেশের শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশের বিপুল জনশক্তির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই তরুণ। এই জনশক্তিকে বর্তমান ও আগামীর জন্য গড়ে তোলা বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
এমইউএম/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।