ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় রিমাল

ঝালকাঠিতে কৃষি ও মৎস্য খাতে ৮৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৪
ঝালকাঠিতে কৃষি ও মৎস্য খাতে ৮৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি

ঝালকাঠি: জেলার চার উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কৃষি ও মৎস্য খাতে ৮৪ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে ৭০ কোটি ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং মৎস্য ক্ষেত্রে ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

জেলার কৃষক ও মাছ চাষি শতশত উদ্যোক্তা রিমালে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত হয়েছে। এই বন্যায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ছয় থেকে সাত ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং তা সাত ঘণ্টা স্থায়ী থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আউশ বীজতলা, রোপা আউশ ধান, চিনা বাদাম, তিল, মরিচ, গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি, হলুদ, পেঁপে, কলা চাষ, পানের বরজ ও বহু বর্ষজীবী ফলের বাগান ছিল। এর মধ্যে এক হাজার ১৬২ হেক্টরে শাক-সবজি, দুই হাজার ১৯ হেক্টরে আউশ ধান, ৪০৬ হেক্টরের বীজতলা, ৬৪ হেক্টরের পানের বরজ, ১৮৫ হেক্টরের কলা চাষ ও ৬৫ হেক্টরে পেঁপে চাষ উল্লেখযোগ্য।

জেলার চার উপজেলায় ৬৪১ হেক্টর আয়তনে ১১ হাজার ৬৭৫টি পুকুর রয়েছে, ১৫৩. ৯৭ হেক্টরে ৩২৯টি মাছের ঘের রয়েছে। মৎস্য বিভাগের হিসাব মতে ৫১৯.৬৭ মেট্রিক টন মাছ ও ৬৫ লাখ পোনা ভেসে গেছে। তবে এর কিছু অংশ বন্যা পরবর্তী জেলেরা এবং বিভিন্ন মানুষ জাল দিয়ে ধরে নিয়েছে। এক কোটি ২৮ লাখ টাকার মাছের পোনা খামার থেকে ভেসে গেছে।

ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় চার কোটি ৭৩ লাখ টাকা, নলছিটি উপজেলায় ছয় কোটি ১৩ লাখ ৫৫২ হাজার টাকা, রাজাপুর উপজেলায় ৯৭ লাখ ৩০ টাকা ও কাঠালিয়ায় এক কোটি ৬৩ লাখ ৮০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।