ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভিডিও বার্তায় কেএনএফের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
ভিডিও বার্তায় কেএনএফের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি

বান্দরবান: ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ। এটি বম সম্প্রদায়ের একটি সংগঠন।

নেতারা বলেন, অবিলম্বে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত ও সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে জন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বান্দরবানে শহরের নিউ গুলশান এলাকার বাংলাদেশ খ্রিস্টান চার্চ কার্যালয়ে এক সভার পর ভিডিও বার্তায় এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জারলম বম, সাধারণ সম্পাদক লাল থান জেল বম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বম এবং বম সম্প্রদায় ও ইয়ং বম অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। বম সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় ভিডিও বার্তাটি দেওয়া হয়।

বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার বম জানান, কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত পাড়াাগুলোয় এখন খাদ্য সঙ্কটসহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার লোকজন এখন জুম চাষ করতে পারছে না। বাগানে উৎপাদিত ফল বিক্রি করতে পারছে না। অনেকে পাড়ায় বসবাস করতে না পেরে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে যাচ্ছে।

বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার বম আরও বলেন, আমরা কেএনএফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, তারা যাতে অবিলম্বে ব্যাংকের লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত দেয়। এছাড়া সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে তারা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আর যদি তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় তবে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে সাধারণ বম সম্প্রদায় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। কেএনএফ অস্ত্র ফেরত দিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলে বম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সহায়তা করবে। আলোচনার জন্য প্রশাসনের দরজা সব সময় খোলা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গত ২ এপ্রিল রুমা সোনালী ব্যাংকে হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং অপহরণের ঘটনায় পাঁচটি এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনায় চারটি মামলা হয়। এরপর যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান শুরু করে। রুমা ও থানচি থানার মোট নয়টি মামলায় এ পর্যন্ত ৮৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।