ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আধিপত্য বিস্তারে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৪
আধিপত্য বিস্তারে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মরদানায় মৃত সাবেক কাউন্সিলর আ. সালাম এবং মৃত সাবেক কাউন্সিলর জেম গ্রুপের মধ্যে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ককটেল বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।  

পুলিশে জানায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আটকদের তাৎক্ষণিক নাম পরিচয় দেয়নি পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টা হতে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পৌর এলাকার মরদানা গ্রামের আইয়ুব বাজারে প্রায় দেড় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এর আগে শুক্রবার একই সময়ে প্রায় ২৫/৩০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছিল। মরদানায় মৃত আব্দুস সালাম ও মৃত খাইরুল ইসলাম জেমের উত্তরসূরি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করতেই এ ককটেল বিস্ফোরণ। ঘটনার পর আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি থেকে পলাতক।

শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও মৃত সাবেক কাউন্সিলরের ভাই আজম আলী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে মরদানার আইয়ুব বাজারে ককটেল বিস্ফোরণসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আসছে সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল ইসলাম জেমের গ্রুপ। তবে তার মৃত্যুর পর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল ৭টা শুরু করে প্রায় ৯টা পর্যন্ত দেড় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এ সময় কেউ হতাহত হয়নি।  

পরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর ককটেল বিস্ফোরণ বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে জেম গ্রুপের সদস্য মো. সুমন আলী জানান, মৃত সালাম গ্রুপ ও বর্তমান কাউন্সিলরের কারণে আমাদের এলাকায় থাকায় দায়। তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালালেও উল্টো আমাদের তারা দোষ দিচ্ছে। তাদের সমর্থিত বাহিনী গত বছর রমজান মাসে খাইরুল ইসলাম জেমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করলেও এখনও কোনো বিচার হয়নি।

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী মো. পলাশ আলী জানান, তিনি গ্রামের অশান্তির জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে রাজশাহীতে থাকছেন। বর্তমানে দুটি গ্রুপের অত্যাচারে আমরা গ্রামবাসী জিম্মি।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তবে, তারা কোন গ্রুপের সদস্য তা তাৎক্ষণিক বলা যাবে না।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর আগে প্রায় ৪০টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।