ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সৈয়দপুরের পাতাকুঁড়ি ও রংধনু পার্কে বেড়েছে দর্শনার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
সৈয়দপুরের পাতাকুঁড়ি ও রংধনু পার্কে বেড়েছে দর্শনার্থী

নীলফামারী: জেলার সৈয়দপুরের পাতাকুঁড়ি ও রংধনু পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। ছোট্ট পরিসরে গড়ে এই দুই পার্কে ঈদের দিন থেকে শিশু-কিশোর ও অভিভাবকদের ভিড় বেড়েই চলেছে।

এবারে প্রথম পাতাকুঁড়ি পার্কে বিশেষভাবে তৈরি সুইমিং পুল শিশু-কিশোর ও তরুণদের আকর্ষণ করছে। সব মিলে এখানকার বাসিন্দা ও বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীরা আনন্দে ঈদে ঘোরাঘুরি করছেন।

সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের ওয়াপদা এলাকায় গড়ে উঠেছে পাতাকুঁড়ি বিনোদন কেন্দ্রটি। প্রায় ১৩ একর জমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত। বিশিষ্ট ঠিকাদার আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন কয়েক বছর আগে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে জিরাপ, হাতি, হরিণ, সিংহসহ কৃত্রিম জিনিসপত্র তৈরি করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি। সৃষ্টি করা হয়েছে নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ। শিশুদের জন্য ছোট্ট পরিসরে বসানো হয়েছে চড়কি, দোলনাসহ নানা খেলার জিনিস।

পার্কটির মূল উদ্যোক্তা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন জানান, এই বিনোদন কেন্দ্রটি আগামিতে আকর্ষনীয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। সেই সঙ্গে জমির পরিধিও বাড়ানো হবে।

সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কের পাশে বিনোদন কেন্দ্রে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিকেল হলে শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষের ভিড়ে এরই মধ্যে জমজমাট হয়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্রটি। সেখানে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সৈয়দপুর-দিনাজপুর সড়কের খড়খড়িয়া নদীর পাশেই গড়ে উঠেছে আরেকটি বিনোদন পার্ক রংধনু। প্রায় ৫ একর জমিতে এই পার্কটি গড়ে উঠেছে। পার্কে প্রবেশে আছে ঝুলন্ত সেতু। আছে সুইমিং পুল, দোলনা, বাচ্চাদের ট্রেনভ্রমন। এছাড়া পার্ক জুড়ে বানানো হয়েছে বিভিন্ন পশু-পাখির কৃত্রিম সব চিত্র। পিকনিক ও বিনোদনের জন্য পার্কটি ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েছে দর্শনার্থীদের পদচারণা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।