ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: সিনিয়র শিল্প সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: সিনিয়র শিল্প সচিব

ঢাকা: জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে। সেজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

 

তিনি বলেন, জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করতে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং তৈরি, রপ্তানি বাণিজ্যে প্রণোদনা প্রদান, বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে শোকেসিং, ইত্যাদি করা হবে।

রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ৫ দিনের ‘জামদানি মেলা-২০২৪’র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

বিসিকের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) সঞ্জয় কুমার ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

সিনিয়র সচিব বলেন, উন্নত বুনন কৌশল, বাহারি নকশা ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে জামদানি অতুলনীয়। তাছাড়া এটি অত্যন্ত আরামদায়ক। একসময় বাংলার মসলিন বিশ্ববিখ্যাত ছিল। এখন সময় এসেছে মসলিনের বিকল্প হিসেবে জামদানিকে সারাবিশ্বে সমাদৃত করার।

জাকিয়া সুলতানা বলেন, বর্তমানে জামদানির বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় না। বিদেশিদের কাছেও এটি অত্যন্ত পছন্দনীয়।  

তিনি বলেন, নবীন কারিগররা জামদানির নকশা বিষয়ে তেমন অভিজ্ঞ নয়। সেজন্য গত ১১ মার্চ থেকে এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।  

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে জামদানিকে আরও গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত করতে হলে এ শিল্পে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে। যেকোনো শিল্পে উৎপাদন খরচ না ওঠলে সে শিল্প বিকশিত হতে পারে না।  

এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, প্রতিবছর সোনারগাঁয়ে অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলায় জামদানি প্রদর্শিত হয়। সেখানে কারুশিল্পীরা জামদানি তৈরির বুনন কৌশল প্রদর্শন করেন।  

তিনি বলেন, ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় আরও বেশি সংখ্যক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল শাড়িকেও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর।

আলোচনা সভা শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে ফিতা কেটে পাঁচ দিনব্যাপী (৩০ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল, ২০২৪) ‘জামদানি মেলা-২০২৪’এর উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি মেলা ঘুরে দেখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।