ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ক্ষেত থেকে চুরি হচ্ছে রসুন, রাত জেগে দিতে হচ্ছে পাহারা

মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
ক্ষেত থেকে চুরি হচ্ছে রসুন, রাত জেগে দিতে হচ্ছে পাহারা

দিনাজপুর: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় উৎপাদিত রসুন দেশের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাদা সোনা খ্যাত এ রসুনের দাম এবার বেশ ভালো।

 

দাম ভালো পেলেও ক্ষেত থেকে রসুন চুরি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় এ উপজেলার কৃষকেরা। চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা।

উপজেলার গোয়ালডিহি, নলবাড়ী, হাসিমপুর ও কাচিনীয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, জমিতে পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে কৃষকরা সেখানে রাত থাকছেন। কৃষকদের চোখে ঘুম নেই, রাত জেগে টর্চ লাইটের আলোয় রসুন ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন তারা। গত ১ সপ্তাহে বেশ কয়েকজন কৃষকের ক্ষেত থেকে রসুন চুরির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে কৃষকদের মনে। ঈদের আগেই রসুন ওঠানো ও ঘরে তোলা শেষ হবে বলে কৃষকরা জানান।  

গোয়ালডিহি গ্রামের রসুন চাষি আশরাফ আলী বলেন, সময়ের সঙ্গে রসুন চাষে খরচ ও শ্রম বেড়েছে। গত কয়েকদিনে এ গ্রামের কয়েকজন কৃষকের ক্ষেত থেকে রসুন চুরি হয়েছে। চোরের চিন্তায় রাত জাগতে হয়? রসুন দামি ফসল, তাই পাহারা দিচ্ছি।

উপজেলার গোয়ালডিহি জমির শাহ পাড়ার রসুন চাষি রিশাদ শাহ জানান, ৫০ শতকের প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে বীজ, সার, সেচ, হাল ও পরিচর্যা বাবদ এ বছর খরচ হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। এবার বীজের দাম বেশি হওয়ায় খরচটা বেড়ে গেছে। আর প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৫৫ থেকে ৭০ মণ। প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। সে হিসেবে অন্য আবাদের চেয়ে রসুন চাষ লাভজনক।  

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, আবহাওয়া ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে ভালো ফলন ও বর্তমান বাজারে রসুনের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হবেন। চুরির বিষয়টি স্থানীয় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। চুরি রোধে কৃষকরা দিনে ও রাতে পাহারা দিচ্ছেন শুনেছি।

এ বিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, থানা পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও রাত্রিকালীন পাহারাদাররা চুরি রোধে নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে জনগণের সচেতন ভূমিকা চুরি রোধ ও অপরাধ কমাতে অনেক কার্যকর হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ছয়টি ইউনিয়নে রসুন চাষ হয়েছে এক হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরে ছিল এক হাজার ৫০০ হেক্টর। লাভ বেশি হওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবার রসুন চাষ বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।