ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুয়াকাটায় সূর্যাস্তের মুগ্ধতায় দর্শনার্থীরা

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৪
কুয়াকাটায় সূর্যাস্তের মুগ্ধতায় দর্শনার্থীরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

কুয়াকাটা থেকে: পশ্চিম দিগন্তে হেলে পড়লে সূর্যের লালচে আভায় রঙিন হয়ে ওঠে সমুদ্রের নোনা জল! ঢেউয়ের গর্জন আর জল ছোঁয়া বাতাস অন্য রকম মানসিক প্রশান্তি এনে দেয় মানুষের মনে।  

দিন শেষে ক্লান্ত সূর্য তার রক্তিম আলোক ছটা ছড়িয়ে ডুব দেয় সমুদ্রের বিশাল জলরাশিতে।

রক্তিম আভা আর মুগ্ধতা রেখে যায় দিগন্ত আর সৈকতে থাকা মানুষের মনে। আলো আঁধারিতে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য যেন ঐশ্বরিক মনে হয়।  

শুক্রবার (১ মার্চ) লাখো দর্শনার্থী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে উপভোগ করলেন সূর্যাস্ত।

স্থানীয়রা জানান, মৌসুমের শেষ দিক এবং রমজানের আগ মুহূর্ত হওয়ায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়। সকালে সূর্যোদয় এবং সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখতে সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে।  

পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকাসহ ওইসব এলাকার পর্যটকদের আগমন বেড়েছে কুয়াকাটায়। ইদানিং মৌসুমে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। হোটেল-মোটেলে রুম পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে!

সরেজমিনে শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেখা গেছে, কয়েক কিলোমিটার জুড়ে দর্শনার্থীদের ঢল। দূরে সমুদ্রের জলরাশিতে ডুব দেবে সূর্য! এই দৃশ্য উপভোগ করতে বিকেল থেকেই সৈকতে আসছেন পর্যটকেরা। সূর্যাস্ত আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে ছুটে যাচ্ছেন লেবু বনে। সূর্যের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যায় অনেকে।

অনেকে আবার বিকেলেই নেমে পড়েছেন সমুদ্রে। ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালি গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন! নারী-শিশু-কিশোরদের ঢেউয়ে পা ভিজিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে। এছাড়াও অসংখ্য দর্শনার্থীদের আয়েশ করে বসে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে দেখা গেছে।  

দর্শনার্থীদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, সূর্যাস্ত উপভোগ কুয়াকাটার অন্যতম এক আকর্ষণ। সারাদিন কুয়াকাটার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে বিকেলে সূর্যাস্ত দেখতে সমুদ্রের পাড়ে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে।

আফসানা আক্তার নামে এক দর্শনার্থী বলেন, অনেকদিন পরে কুয়াকাটা এলাম। তিন দিন ধরে এখানে আছি। পদ্মা সেতু হওয়ার পর ঢাকা থেকে কুয়াকাটা আসা আরও সহজ হয়ে গেছে। সমুদ্র দর্শন সত্যিকার অর্থেই উপভোগ্য। পুরো পরিবার নিয়ে এসেছি। আনন্দ করছি। খুবই ভালো লাগছে।

মাদারীপুর থেকে আসা রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমরা কলিগদের নিয়ে সমুদ্র দেখতে এসেছি। আর সূর্যাস্ত হচ্ছে সবচেয়ে লোভনীয় আমার কাছে। সূর্য ডুবে গেলে ওই মুহূর্তে যে আলো আঁধারি ভাব তৈরি হয়, তখন সমুদ্র দেখতে ভালো লাগে। আর রাত একটু বাড়লে তখন সমুদ্রের গর্জন আরও বাড়ে। ভালো লাগে। শুক্রবার পর্যটকের ঢল নেমেছে এখানে। লোকে লোকারণ্য!

ফরিদপুর থেকে আসা কলেজছাত্র মেহেদী বলেন, আমরা সুযোগ পেলেই ভ্রমণে বের হই। কুয়াকাটা এসে সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। বিকেলটা মূলত সূর্যাস্ত দেখা আর বিশ্রামের জন্য সমুদ্রের পাড়ে বসেছি। ছাতার নিচে বসে সমুদ্র দেখছি, ত্রিশ টাকা এক ঘণ্টা।

সূর্য ডুবে যায়। গোধূলিতে পড়ে থাকে সূর্যের রক্তিম আভা। বাড়তে থাকে ঢেউ আর ঢেউয়ের শব্দ। সন্ধ্যার সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।