ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চার বছর পর পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নামলো ৫ ডিগ্রির ঘরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
চার বছর পর পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নামলো ৫ ডিগ্রির ঘরে

পঞ্চগড়: চলতি শীত মৌসুমে বিগত পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের মধ্যে ও চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে একই দিন সকাল ৬টায় পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

তাপমাত্রা সর্বনিম্ন রেকর্ড হলেও দেখা মিলেছে সূর্যের। তবে অব্যাহত রয়েছে পাহাড়ি হিম বাতাস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, বিগত ৪ বছর পর (২০১৯ সালের পর) ৫ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে এই জেলার তাপমাত্রা। এর আগে গত ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া তার আগের বছর ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

এদিকে সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশা ও পাহাড়ি হিম বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ায় চরম বিপাকে পড়েছে এ জেলার সর্বসাধারণ। তবে এর মধ্যে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের দারিদ্র শ্রমজীবী মানুষ। এ জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় আবারও পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সকাল ৮টার পর সূর্যের দেখা মিললেও নেই কাঙ্ক্ষিত উত্তাপ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বাংলানিউজকে বলেন, হিমালয়ের একেবারে কাছে পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বেশি অনুভূত হয়। আজ রোববার দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বিগত ৪ বছর আগে (২০১৯ সালের পর) এ জেলায় তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছিল। আগামী দুই-একদিন শৈত্যপ্রবাহের এ দাপট অব্যাহত থাকবে, এবং শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।