ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে নীরব থাকা বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করা দরকার: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে নীরব থাকা বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করা দরকার: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে যে নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীরা নীরব, তাদের চিহ্নিত করা দরকার। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণায়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন সারা দেশের মানুষ আওয়াজ তুলবে, তখনই বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে। সে আওয়াজটা সচেতন নাগরিক ও নাগরিক সমাজের কাছ থেকে আশার কথা। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমি নাগরিক সমাজের একটি বিবৃতিও দেখিনি। নাগরিক সমাজ সময়ে সময়ে যেসব কথাবার্তা বলে, সেগুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি। কিন্তু নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবী বলে যারা সমাজে পরিচিত, বিভিন্ন সময়ে বিবৃতি দেয়, তারা এখন নীরব, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।  

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা সুবিধাবাদী। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। সাংবাদিকদের অনুরোধ করব তাদের চিনে রাখতে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একটা কথা বলেছেন, সেটি হলো ‘আওয়ামী লীগ নাকি দল থেকে ভাগানোর রাজনীতি করছে। ’‌ আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছেন। সারা দেশে একেবারে কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে পর্যন্ত বিএনপির নেতারা দল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা এ দলটি কেন করেন, যে দল আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাচনও করতে দেয় না? বিএনপি করলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচন করতে পারবেন না। আপনারা দলটি করেন কেন? আজ কম্বলের তলা থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছেন। পরে রিজভীরা দেখবেন, তারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী।

জাতীয় পার্টিসহ অন্য শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, গেল ১৫ বছর ধরে বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টি আমাদের রাজনৈতিক সহযাত্রী হিসেবে কাজ করছে। দলটি ২০০৮ সালে আমাদের মহাজোটে ছিল। তাদের সঙ্গে কৌশলগত জোট হতে পারে, সে জন্যই তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছে ও করতে চায়।

তিনি বলেন, এবার অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরও এখনো প্রতি আসনে সাতজন করে প্রার্থী আছেন। এখন একটি দল নির্বাচনে না এলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না, এমন কথা কোথাও লেখা নেই। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেরও অনেক বড় নেতার দল অংশ নেয়নি। সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছিল।

শরিকদের কতগুলো আসন আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। যারা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য, তাদের নির্বাচিত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে।

জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে থেকে নির্বাচন করবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলটি স্বাধীনভাবে নির্বাচন করছে। কোনো কোনো আসনে তারা আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায়। সবসময় তা হয়ে আসছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। সমঝোতার ক্ষেত্রে কে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য, তা বিবেচনা করা হবেই, যেকোনো সমঝোতায়, যেকোনো দলের ক্ষেত্রে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।