ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বড়শিতে মাছ শিকারেই পেটে ভাত জোটে তাদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
বড়শিতে মাছ শিকারেই পেটে ভাত জোটে তাদের

ঝালকাঠি: জীবিকার তাগিদে ডিঙি নৌকায় ভেসে খালে-বিলে ও নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করেই সংসার চলে তাদের। এ যেন প্রকৃতির এক নীরব বৈচিত্র্য।

 

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীরে থানার খালে দেখা যায় ১৬ জন মাছ শিকারিকে। তাদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায়। মাছ ধরার জন্য দেড় মাস আগে তারা সুগন্ধা নদীতে এসেছেন। আর এই নদী থেকে তার বড়শি দিয়ে চিংড়ি শিকার করছেন। আর তাদের সংসার চলে শুধু মাছ শিকার করেই। বলা যায়, মাছ শিকারই তাদের জীবন-জীবিকা। কেননা, অন্য কোনো কাজ করেন না তারা।  

ওই শিকারিদের মধ্যে বেল্লাল মোল্লা নামে একজন বাংলানিউজকে বলেন, বড়শি দিয়ে মাছ ধরেরই চলি আমি ও আমার পরিবার। এ কাজেই আমার মতো আরও অনেকের চলে জীবন-সংসার।  

তিনি বলেন, জীবিকার প্রয়োজনে দিন-রাত নেই। সব রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে বছরের পর বছর শুধু মাছ ধরেই চলছি। এখন পেশা-নেশা এটাই। এর রোজগার দিয়েই স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখাসহ সংসার চলে আমার।  

রফিকুল ইসলাম নামে আরেকজন মাছ শিকারি বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে নৌকা করে বিভিন্ন নদীতে বড়শি দিয়ে চিংড়ি ধরছি। কোনোদিন দুই কেজি কোনোদিন চার কেজি আবার কোনোদিন এক কেজি। দিনে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে সাগে ৪ হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় করতে পারি। আবার মাঝে মধ্যে শুধু নিজেদের খাবারের খরচের টাকা আয় হয়।  

নৌকা নোঙর করা ভাসান সম্প্রদায়ের মিলন শেখ জানান, নদীর পানির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় তাদের। তবে বড়শিতে মাছ শিকারই তাদের বেঁচে থাকার প্রধান অবলম্বন। আর তারা নৌকায় রান্না করে, নৌকায় খায় ও নৌকায় ঘুমায়।  

তিনি আরও জানান, যখন আবহাওয়া খারাপ থাকে তখন বিভিন্ন খালের ব্রিজের নিচে আশ্রয় নেন তারা। এরপর নৌকায় চাক দিয়ে পলিথিন পেঁচিয়ে ছৈই বানিয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।