ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিটিসিএলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত এমডি সাময়িক বরখাস্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
বিটিসিএলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত এমডি সাময়িক বরখাস্ত

ঢাকা: ফাইভজি প্রকল্পে বিধি-বহির্ভূত ও অসৎ উদ্দেশ্যে দরপত্র বাতিলের কারণে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করেছে।

আদেশে বলা হয়, বিটিসিএল বাস্তবায়নাধীন ফাইভজির উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ওপিটিএন এসজি ২০২২-২৩/জিডি-০১/এর বিপরীতে আহ্বানকৃত ‘টেন্ডার অব সাপ্লাই ইনস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং অব এএসওএন বেইজড ডিডব্লিউডিএম ট্রান্সমিশন সিস্টেম অন টার্ন-কে বেসিস’ টেন্ডারের বিপরীতে মোট তিনটি প্রতিষ্ঠান এক ধাপ-দুই খাম-বিশিষ্ট দরপত্র দাখিল করে। পিপিয়ার ২০০৮-এর বিধি ৮-এর অনুসরণে বিটিসিএলের পরিচালনা পর্ষদ সাত সদস্যবিশিষ্ট মূল্যায়ন কমিটি গঠন করে। মূল্যায়ন কমিটি প্রাথমিক মূল্যায়নে এবং কারিগরি মূল্যায়নেও তিনটি দরপত্রকেই রেসপন্সিভ হিসেবে সুপারিশ করে। কারিগরি চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন গত ০৬ এপ্রিল প্রকল্প কার্যালয় প্রধান বরাবর পাঠানো হয়।

আদেশে আরও বলা হয়, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের জিএম আসাদুজ্জামান চৌধুরী তার অতিরিক্ত দায়িত্বে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তথা প্রকল্প কার্যালয় প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। বিটিসিএলের ২১৩তম বোর্ড সভায় তিনি নিজে দুটি দরপতকে রেসপন্সিভ মর্মে সভাকে অবহিত করেন। কিন্তু কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয় উল্লেখপূর্বক তিনি সব দরপত্রই বাতিলপূর্বক পিপিয়ার ২০০৮-এ বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন পরে ১ জুলাই পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। যা তার এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ। তিনি শুধুমাত্র কারিগরি প্রতিবেদন অনুমোদনকারী এবং তিনি অর্থ বিভাগের আর্থিক ক্ষমতা অর্পন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ না হয়েও এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে দরপত্র বাতিল করেছেন। কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্পষ্ট বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হওয়ায় ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো সংশোধন করে নিষ্পত্তি করার জন্য বিটিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের ২১৩তম সভায় তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়, যা তিনি পরিপালন করেননি।

আসাদুজ্জামান চৌধুরী দরপত্র বাতিলের এসব সিদ্ধান্ত বিধি-বহির্ভূত, অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। তার এমন আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ মোতাবেক অসদাচরণ, যা উক্ত বিধিমালার বিধি ৩ (দ) এবং (মা) অনুযায়ী দণ্ডযোগ্য অপরাধ। এজন্য আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১৯(১) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।