ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন মজুরির প্রস্তাব শ্রমিক নেতাদের কাছে ‘মন্দের ভালো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৩
নতুন মজুরির প্রস্তাব শ্রমিক নেতাদের কাছে ‘মন্দের ভালো’

সাভার (ঢাকা): পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণকে ‘মন্দের ভালো’ বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার শ্রমিক নেতারা।  

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে মজুরি বোর্ডে হওয়া সিন্ধান্তের বিষয়ে এ মন্তব্য করেন চারজন শ্রমিক নেতা।

 

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, এখন যে ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, তা শ্রমিকদের জন্য মন্দের ভালো আরকি। আমরা বিষয়টি নিয়ে আপিল করব, যেন বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে মজুরি আরও বাড়ানো হয়। আরেকটি কথা হলো, যে মজুরিই শ্রমিকদের জন্য নির্ধারণ করা হোক তা যেন সব পোশাক কারখানায় বাস্তবায়ন করা হয়।  

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে পঞ্চম মজুরি বোর্ডের আজ যে মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে তা শ্রমিকদের জন্য মন্দের ভালো। সাড়ে ১২ হাজার টাকার নির্ধারিত এই মজুরি আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। আমাদের শ্রমিক নেতারা মজুরি বোর্ডে ২০ হাজার টাকার জন্য আবেদন করেছিলেন।  সেই আবেদন পরে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়। যা গত মজুরির তুলনায় ৪ হাজার টাকারও বেশি বাড়ানো হয়েছে। আমরা চাই শ্রমিকদের রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা হোক এবং বাসা ভাড়া যেন হুট করে বাড়ির মালিকরা বাড়িয়ে না দেন, সেজন্য সরকার যেন তদারকি করে সেটার জন্য অনুরোধ জানাই।  

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার পঞ্চম সভায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মালিকদের যে প্রস্তাবনা রয়েছে, সেটাই মেনে নেওয়া হয়েছে। যে মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে তা আসলে শ্রমিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি। বর্তমান বাজার দর যেভাবে বেড়েছে তা এই মজুরিতে শ্রমিকের জন্য খুবই অপ্রতুল।  

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি (সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই) মো. ইব্রাহিম বলেন, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে এই মজুরিতে শ্রমিকদের যদিও চলতে কষ্ট হবে তবে নাই মামার চেয়ে কানা মামা অনেক ভালো। এই মজুরি কিছু শ্রমিক হয়তো মানবে না আবার কিছু শ্রমিক সাদরে মেনে নেবেন।  

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের মধ্যে জরুরিভাবে পঞ্চম সভায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করে মজুরি বোর্ড।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৩ 
এসএফ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।