ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উদ্ভাবনী ক্যাটাগরিতে বিশেষ সম্মাননা পেল বাংলাদেশি প্রকল্প

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
উদ্ভাবনী ক্যাটাগরিতে বিশেষ সম্মাননা পেল বাংলাদেশি প্রকল্প

বাগেরহাট: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা ‘হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি’ আয়োজিত ‘এশিয়া-প্যাসিফিক হাউজিং ফোরাম ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩’- এ ‘সিভিল সোসাইটি হাউজিং ইমপ্যাক্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছে ‘কোডেক’।

চলতি বছর তিন হাজার ১০০টির বেশি আবেদন থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দেশের মোট ছয়টি প্রকল্প বা সংস্থা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক)’ বাস্তবায়িত Promotion of environment friendly construction materials and technologies in coastal region of Bangladesh নামে উপ-প্রকল্পটি ‘সিভিল সোসাইটি হাউজিং ইমপ্যাক্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছে।
আগামী ২৬ ও ২৭ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার সুউন শহরে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। সম্প্রতি ‘এশিয়া-প্যাসিফিক হাউজিং ফোরাম’ তাদের ওয়েবসাইটে সম্মাননা প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের কোডেক ছাড়াও ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, নেপাল, কম্বোডিয়া ও সিঙ্গাপুরের কয়েকটি উদ্যোগের তালিকা রয়েছে।  

কোডেক ও পিকেএসএফ’র তথ্য অনুযায়ী, হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি প্রতি দুই বছরে ‘এশিয়া-প্যাসিফিক হাউজিং ফোরাম’ শীর্ষক দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আয়োজন করে। এ বছর হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি এবং United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific একসঙ্গে এ আয়োজন করেছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, সুইচ এশিয়া-ইইউ, ইউএন হ্যাবিট্যাট, নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড নেশন গ্লোবাল কমপ্যাক্টসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবারের আয়োজনে সহযোগিতা করেছে।

কোডেকের পরিচালক কাজী ওয়াফিক আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় বিশ্বব্যাংক ও পিকেএসএফ-এর যৌথ অর্থায়নে দেশের ৩৭টি জেলায় ‘সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টটি (এসইপি)’ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র উদ্যোগে পরিবেশগতভাবে টেকসই চর্চা রপ্ত করার জন্য ৬০ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র উদ্যোগে বিভিন্ন আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে এসইপি’র ‘উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী ও প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ’ অন্যতম। উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে পোড়া ইটের বিকল্প পরিবেশবান্ধব ‘হলো ব্লক’ ও ‘সলিড ব্লক’ তৈরি করার জন্য বাগেরহাট, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, ও খুলনা জেলার ২২৬ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী তৈরি ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করার জন্য বিভিন্ন আর্থিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে উদ্যোক্তাদের। প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি ও বাজারজাতকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও হ্রাস, পরিবেশ সংরক্ষণে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উপকূলীয় জলবায়ুর সঙ্গে মানানসই পরিবেশবান্ধব ‘প্রি-ফেব্রিকেটেড কংক্রিট’ নির্মাণ কেন্দ্র এবং টেকসই বিল্ডিং হাব তৈরির মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করছে। এতে উদ্যোক্তাদের উৎপাদন সক্ষমতা এবং পণ্যের গুণগতমান বাড়ছে। ফলে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে দক্ষতা ও সচেতনতা বেড়েছে, উন্নত হচ্ছে তাদের জীবনযাত্রার মান। এসব কাজের কারণে পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি জলবায়ু সহিষ্ণু আবাসনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে, যার স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা পেয়েছে কোডেক।  

বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পিকেএসএফ’র সহযোগিতায় কোডেকের ক্লাইমেট-রেজিলিয়েন্ট হাউজিং প্রজেক্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু ও পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লক ব্যবহার বেড়েছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহার বাড়ছে এবং নিরাপদ ও টেকসই স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।