ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নদীতে কাঠের গুঁড়ির সঙ্গে আটকে ছিল নিখোঁজ শিশুর মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
নদীতে কাঠের গুঁড়ির সঙ্গে আটকে ছিল নিখোঁজ শিশুর মরদেহ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাবার সঙ্গে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মহসিন মিয়া (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

স্রোতের সঙ্গে ভেসে মরদেহটি ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি গাছের গুঁড়িতে আটকে ছিল।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামের তিস্তার শাখা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

এর আগে সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামের তিস্তার শাখা নদীতে নিখোঁজ হয় শিশুটি।

শিশু মহসিন উপজেলার তালুক বেলকা গ্রামের মিস্ত্রিপাড়ার নওশা মিয়ার ছেলে। শিশুটি স্থানীয় শ্যামরায়ের পাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা জানায়,  বিকেলে মহসিন তার বাবার সঙ্গে তিস্তার শাখা নদীতে মুঠোজাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়। একপর্যায়ে বাবার অজান্তে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয় মহসিন। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।

বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ জানান, পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কিশামত সদর গ্রামের কাজিউলের দোকান সংলগ্ন নদীতে থাকা একটি গাছের গুঁড়িতে শিশুটির মরদেহটি আটকে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে স্বজনরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।

সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন চ্যাটার্জি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।