ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সৈয়দপুরে পলিথিনের স্তূপ, পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
সৈয়দপুরে পলিথিনের স্তূপ, পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরের পৌর এলাকায় আবর্জনা ও  পলিথিনের স্তূপের কারণে পানি বের হওয়ার পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে পানি বের হতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেও ড্রেনে পানি নামছে না। এতে করে পাড়া-মহল্লাসহ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এ অভিযোগ করেছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা।

পৌরসভার সূত্রমতে, ২৬ বর্গ-কিলোমিটার আয়তনের সৈয়দপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ড মিলে ১৮৫ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ কিলোমিটার কাঁচা। সব সড়কগুলোর অবস্থাই খুব খারাপ। তারপরেও কাজ করতে না পারায় পৌরসভার মেয়রসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের জন-প্রতিনিধিরাও আজ প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। ড্রেন থাকলেও নামছে না পানি। ফলে পৌরবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই।

এমনকি শহরের সড়কের পাশের দোকানসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে সামান্য বৃষ্টিতেই। বিশেষ করে এসব এলাকার রেলওয়ের জলাধারসহ অনেক নালা-নর্দমা দখল করে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এ দুর্ভোগ এখন চরমে পৌঁছেছে। এতে করে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে প্রায় সময়।  

শহরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য দিনে ২/৩ বার ঝাড়ু দেওয়া হলেও পলিথিন ব্যবহারে সচেতন নয় পৌরসভার মানুষ। বেশির ভাগ পলিথিন ফেলা হয় পানি প্রবাহের ড্রেনে বা ব্রিজের পানি যাতায়াতের মুখে। এতে করে পলিথিন আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে প্রায় সময়।  

প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেতুবন্ধনের সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, পলিথিন ব্যবহারে সচেতন ও যত্রতত্র পলিথিন না ফেলার জন্য সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে সৈয়দপুরের বিভিন্ন স্থানে। মানুষের অজ্ঞতার কারণে নিজেরাই সমস্যা সৃষ্টি করছেন। বিষয়টিকে নজর দেওয়ার জন্য পৌর পরিষদকেও অনুরোধ জানানো হবে।  

তিনি বলেন, সৈয়দপুরে গড়ে ওঠা পলিথিন কারখানাগুলো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে সেইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানার ব্যবস্থা করলে পলিথিন ব্যবহারে সচেতনতা বাড়বে বলে আশা করি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।