ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এডিসি হারুন কাণ্ড

ব্যক্তির অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না: বিপ্লব কুমার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
ব্যক্তির অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না: বিপ্লব কুমার কথা বলছেন ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় সদ্য আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি হওয়া ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপির সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।



বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ডিএমপি কমিশনার স্যারের সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন। তাদের সঙ্গে একজন ভুক্তভোগীও ছিলেন। তারা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাদের বেশ কিছু দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছে।

ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বলেন, কমিশনার স্যার ছাত্রলীগের নেতাদের জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত পেশাদার একটি সংস্থা। ব্যক্তির দায় বাংলাদেশ পুলিশ বহন করবে না। এটি একদম পরিষ্কার কথা। পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে ঘটনাটি যখন সবার নজরে আসে, তখন তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনার স্যার এডিসি হারুনকে রমনা থানা থেকে সরিয়ে দেন। পরবর্তীতে আইজিপি স্যার ডিএমপি থেকে তাকে এপিবিএনে বদলি করেন। এছাড়া ডিএমপি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।  

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটিকে ডিএমপি কমিশনার স্যার বলেছেন, একেবারেই নিরপেক্ষ এবং কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য। এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে পুলিশের সর্বোচ্চ থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন পর্যায়ের যে কেউ জড়িত থাকুক, যার যতটুকু দায়-দায়িত্ব রয়েছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কমিশনার স্যার আশ্বস্ত করেছেন।  

ছাত্রলীগ মামলার বিষয়ে কথা বলেছে কি-না, জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এ বিষয়ে কথা হয়নি। যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

শুধু এডিসি হারুনই নয়, ভুক্তভোগীর দাবি তার সঙ্গে আরও ১০/১২ জন পুলিশ থানায় তাকে মারধর করেছেন। প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিএমপির ওই কর্মকর্তা বলেন, একশ পার্সেন্ট নিশ্চিত থাকেন, যারা জড়িত ছিলেন সবার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন জড়িত নাকি ৫/১০ জন জড়িত তদন্ত কমিটি যাকে যতটুকু দায়ী করবে তার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।  

এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা কী? জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, দুই ধরনের দণ্ড রয়েছে। একটি লঘুদণ্ড অন্যটি গুরুদণ্ড। লঘুদণ্ডের মধ্যে চারটি বিষয় রয়েছে, গুরুদণ্ডের মধ্যে চারটি বিষয় রয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে কাকে কতটুকু দায়ী করবে তার ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ চাকরিচ্যুত হতে পারেন কেউবা তিরস্কারও হতে পারেন।

এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইমকে নির্যাতন করেন এডিসি হারুন। এ ঘটনায় রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) তাকে এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।