ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে তাসমিরা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় স্বামী শাহীন ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে, পুলিশ নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পেয়ে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

এর আগে, একই দিন সকালে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের গাজকাটি এলাকায় শয়ন ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, গৃহবধূর তাসমিরা একই এলাকার জয়নালের ছেলে শাহীন ইসলামের স্ত্রী এবং তিনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জের মুছার মেয়ে।  

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহীনের সঙ্গে তাসমিরার বিয়ে হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। তাদের সংসারে দুই বছর ও ছয় মাস বয়সের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য লেগে থাকতো। স্বামী-স্ত্রীর এই দ্বন্দ্বে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ইন্ধন দিত। তাসমিরাকে প্রায়ই কারণে-অকারণে মারধর করা হতো। এনিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে সালিশও হয়েছে। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা কমেনি।  

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাসমিরাকে তার স্বামী শাহীন মারধর করেন। এর পরই তিনি (তাসমিরা) বাড়ি থেকে বের হয়ে চিলাহাটি বাবার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। সে সময় তার দুই সন্তানকে সঙ্গে নিতে চাইলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাতে রাজি হননি। পরে শাহীন চিলাহাটিতে থাকা তার বোনকে মোবাইলফোনে বিষয়টি জানান। তার বোন খবর পেয়ে চিলাহাটি থেকে বাসায় ফিরিয়ে আনেন তাকে। বাসায় আসার পর আবারও মারধর করা হয়। শুক্রবার সকালেও তাকে মারধর করা হয়েছে বলে প্রতিবেশীর কাছে শুনেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের দাবি, তাসমিরাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার পর দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার শরীরে একাধিক জায়গায় মারধরের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের কারণে তার পা দিয়ে রক্ত ঝরছিল।

নিহতের মা রুমি আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে শাহীন ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। আমি মেয়ের হত্যাকারীদের কঠোর বিচার দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রঞ্জু আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ঝুলন্ত অবস্থায় শোয়ার ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে বিভিন্ন ক্ষত পাওয়া গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী শাহীনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।