ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্জন এলাকার ফ্যাক্টরি টার্গেট করে ডাকাতি করতেন তারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
নির্জন এলাকার ফ্যাক্টরি টার্গেট করে ডাকাতি করতেন তারা

ঢাকা: দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা কিংবা নির্জন এলাকায় অবস্থিত ফ্যাক্টরিগুলো টার্গেট করত একটি ডাকাত দল। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা থেকে দলের সদস্যরা এক হয়ে ফ্যাক্টরিতে ডাকাতি করতেন।

গত ২ জুলাই ঢাকার কেরানীগঞ্জের কলাতিয়ায় অ্যাপিজ গ্লোবাল লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ডাকাতি করেন দলটির বেশ কয়েকজন সদস্য। ৮২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেন তারা।

এ ঘটনায় ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- হামিদুল ইসলাম (৪০), আমিরুল ইসলাম ওরফে রাজু (৪৫), জাহিদ মিয়া (৪০), মনিরুল ইসলাম ওরফে রতন (৩২), আজিজুল হক ওরফে আজিজ (৪৮), ইসরাফিল (৩০), সজল মিয়া (৩০) ও রাশিদা বেগম (৩৩)।  

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, গত ২ জুলাই রাতে অ্যাপিজ গ্লোবাল লিমিটেড নামক কারখানায় দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডরা কারখানার গেটে তালা দিচ্ছিলেন। এমন সময় ডাকাত দলের চার-পাঁচজন সশস্ত্র সদস্য সিকিউরিটি গার্ডদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে একজন গার্ডের তিনটি আঙুল কেটে ফেলেন।  

ডাকাতদল গার্ডদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখে। এরপর ডাকাতদলের আরও আট-দশজন সদস্য দুটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে কারখানায় প্রবেশ করে মূল্যবান কম্বল, কোটিং ফেব্রিক্স, রেইনকোট ফেব্রিক্স, মেস কাপড়, স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যানসহ ৮২ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র নিয়ে যান এবং গার্ডদের হত্যার হুমকি দেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পরে বিভিন্ন আলামত ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় ডাকাত ও লুণ্ঠিত মালামাল কেনা পলাতক আসামি মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী রাশিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, লুণ্ঠিত মালামাল বিক্রির জন্য মোশাররফের গুদামে রাখা হয়। মোশাররফের স্ত্রী রাশিদার দেখানো মতে ডাকাতি হওয়া মালামাল তাদের গুদাম থেকে উদ্ধার করা হয়।  

ডাকাতদের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারদের সবাই আন্তঃজেলা ফ্যাক্টরি ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা ছদ্মবেশে ঢাকার আশপাশসহ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী এলাকায় দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নির্জন এলাকায় অবস্থিত ফ্যাক্টরি রেকির পর টার্গেট করে সে অনুযায়ী ডাকাতি করতেন। বিভিন্ন এলাকায় দলটির সদস্য রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।  

এ সময় অ্যাপিজ গ্লোবাল লিমিটেডের মালিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডাকাত দলে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে ফ্যাক্টরির লোকও থাকতে পারেন। নয়তো এত বড় ডাকাতি করা সম্ভব হতো না। তবে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের কেউ ফ্যাক্টরির লোক নন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।