ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফেলে দেওয়া বর্জ্যই সম্পদে পরিণত হবে: মেয়র আতিক 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
ফেলে দেওয়া বর্জ্যই সম্পদে পরিণত হবে: মেয়র আতিক 

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সংগৃহীত বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। প্রকল্প চালু হলে ফেলে দেওয়া বর্জ্যই সম্পদে পরিণত হবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব হবে। শহর হবে পরিবেশ বান্ধব।

রোববার (২১ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে চীনের বেইজিংয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আশা করছি আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করার জন্য। ডিএনসিসিতে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয়, এই বর্জ্য থেকে দিনে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা উৎপাদন করতে পারবো। যা জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হবে। ডিএনসিসিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প হবে।

মেয়র বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশ যত উন্নত হবে বর্জ্য তত বাড়বে। এই বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করে, ক্ষতিকারক মিথেন গ্যাস তৈরি করে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প নিয়েছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জটিলতা, পরিবেশ দূষণ কিছুই আর থাকবে না।

বেইজিংয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্টের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আজকে বেইজিংয়ের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছি। খুবই চমৎকার ব্যবস্থাপনা। এটি থেকে বাতাসে যা ছাড়া হচ্ছে তাতে ইউরোপিয়ান মানদণ্ড মানা হচ্ছে। এটি পরিবেশের জন্য কোনো প্রকার ক্ষতিকারক নয়। পরিবেশ ভালো রাখার জন্য দারুণ ব্যবস্থাপনা।

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, প্রকল্প হাতে নিতে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে। সবার সমন্বয়ের মাধ্যমে এই কাজটি হচ্ছে, যা অত্যান্ত চ্যালেঞ্জিং। আমরা সবাই প্রকল্পটিকে একটি জায়গায় নিয়ে এসেছি।

চীনের বেইজিংয়ে প্রকল্প পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম ও প্রকল্প পরিচালক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শফিকুর রহমান।

রাজধানীর গাবতলী সংলগ্ন আমিনবাজার এলাকার ডিএনসিসির জায়গায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরি হবে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (সিএমইসি) সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ডিএনসিসি। চুক্তি অনুসারে, চীনা কোম্পানি নিজ ঝুঁকিতে প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
এমএমআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।