ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় উপকূলবর্তী ১৪৯ ফায়ার স্টেশন প্রস্তুত: ডিজি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় উপকূলবর্তী ১৪৯ ফায়ার স্টেশন প্রস্তুত: ডিজি 

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ফায়ার সার্ভিস। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর থেকে বার্তায় ঘূর্ণিঝড় মোখার মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

 

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলোর ১৪৯টি ফায়ার স্টেশন।

বুধবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলোর ১৪৯টি ফায়ার স্টেশন। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সতর্ক ডিউটিতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজন হলে উপকূলীয় অঞ্চলের সবার ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে প্রস্তুতি ও করণীয় নিয়ে মিটিং হয়েছে।

এদিকে জানা যায়, বুধবার বিকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, এমপির সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।  

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন উপকূলীয় এলাকাগুলোর ১৯ জেলার ১৪৯টি ফায়ার স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সবাইকে সতর্ক ডিউটিতে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।  

এছাড়া উপকূলবর্তী দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি ফায়ার স্টেশনে ৮ জনের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, ৫ জনের প্রাথমিক চিকিৎসাকারী দল এবং ৬ জনের একটি করে ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

এসব এলাকায় রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ১০,৬০৩ জন ভলান্টিয়ার। প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স, জেমিনি বোট, চেইন স, হ্যান্ড স, রোটারি রেসকিউ স, স্প্রেডার, মেগাফোন, র‌্যামজ্যাক বা এয়ার লিফটিং ব্যাগ, ফাস্ট এইড বক্স ইত্যাদি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।    

ঘূর্ণিঝড়ের আগে ফায়ার সার্ভিস জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে, সতর্কতামূলক মাইকিংয়ে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজসহ রাস্তাঘাট যান চলাচল উপযোগী করার কাজে ফায়ার সার্ভিস নিয়োজিত থাকবে।  

এসব এলাকায় জীবন ও মালামাল সুরক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো কাজে দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের সেবা নেওয়া যাবে। ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ সব বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সারাক্ষণ সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত থাকবে। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের নিকটবর্তী ফায়ার স্টেশন, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন নম্বর ১৬১৬৩-তে ফোন করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
এজেডএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।