ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাচারকারীদের আস্তানা থেকে পালিয়ে বাঁচল ২ মাদরাসা ছাত্র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
পাচারকারীদের আস্তানা থেকে পালিয়ে বাঁচল ২ মাদরাসা ছাত্র

পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পাচারকারীদের আস্তানা থেকে কৌশলে পালিয়ে বাঁচল আরাফাত (১২) ও বায়েজীদ (১৩) নামে দুই মাদরাসা ছাত্র।  

মঙ্গলবার (৯ মে) দিবাগত রাতে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার উমেদপুর থেকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

ভুক্তভোগী মাদরাসা ছাত্র মো. আরাফাত মঠবাড়ীয়া উপজেলার বকশি ঘটিচোরা গ্রামের হারুন অর রশিদের পুত্র এবং মো. বায়েজীদ একই উপজেলার মিঠাখালী গ্রামের মনির হাওলাদারের পুত্র। তারা উভয়েই মঠবাড়ীয়া শহরের পাশে কালাইমৃধা নূরানী মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন (৯ মে) সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া থেকে ওই দুই মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়। পরে পাচারকারীদের আস্তানা থেকে পালিয়ে আসা ওই দুই ছাত্রকে ইন্দুরকানীর উমেদপুর গ্রামের পথচারীরা উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়।

মঠবাড়িয়া উপজেলার কালাইমৃধা নূরানী মাদরাসার মোহতামিম ইয়াসিন হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় হেফজ বিভাগের ছাত্রদের বিশ্রামের সময় দুইজন আমাদের না জানিয়ে খাবার কিনতে বাইরে যায়।  ঘণ্টাখানেক পরে তাদের খোঁজ পড়লে না পেয়ে আমরা বিষয়টি পরিবারের কাছে জানাই।  

দুই বছর আগেও মাদরাসার পাশের মসজিদে ঘুমিয়ে থাকা দুই ছেলেকে পাচারকারীরা নাকে রুমাল দিয়ে অজ্ঞান করে নিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।

ভুক্তভোগী ওই দুই শিক্ষার্থী জানায়, তারা মঠবাড়ীয়া শহরের পাশে কালাইমৃধা নূরানী মাদরাসায় হিফজ বিভাগে পড়ে। মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা বাজারে খাবার কিনতে যায়। এ সময় ৩/৪ জন লোক তাদের সঙ্গে কথা বলে। এক পর্যায়ে লোকগুলো তাদের নাকে স্প্রে করে। এ সময় তারা দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে কিছুদূর গিয়েই তারা পড়ে যায়। এরপর সন্ধ্যার আগে তাদের জ্ঞান ফিরলে তারা নিজেদের একটি বাগানের ভেতর দেখতে পায়। সেখান থেকে কিছু দূরে বাস-গাড়ীর হর্নের শব্দ পেয়ে পেয়ে হাঁটতে হাঁটতে মেইন রাস্তায় আসে এবং মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করে মঠবাড়ীয়ার রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে।

ওই ছাত্রদের উদ্ধার করা ইন্দুরকানী উপজেলার উমেদপুর গ্রামের মো. আল-আমিন বলেন, মঙ্গলবার (৯ মে) রাত ১০টার দিকে ওই দুই শিশুকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা ঘটনা খুলে বলে।  পরে রাতেই তাদের অভিভাবকদের খবর দিলে উমেদপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আবুল কালামের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ইন্দুরকানী উপজেলার উমেদপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, মঠবাড়ীয়া থেকে পাচারের শিকার হওয়া দুই মাদরাসা ছাত্রকে মঙ্গলবার (৯ মে) রাতে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, এ নিয়ে কেউই থানায় অভিযোগ করে নাই। করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।