ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাঁধের কাজে অনিয়ম: সুনামগঞ্জে ইউএনও, পাউবো কর্মকর্তার নামে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
বাঁধের কাজে অনিয়ম: সুনামগঞ্জে ইউএনও, পাউবো কর্মকর্তার নামে মামলা

সিলেট: বাঁধের কাজে অনিয়মের অভিযোগ এনে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ ৫ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ‘হাওর বাঁচাও’ নামক সংগঠনের সদস্য মো. শওকত আলী।

স্পেশাল পিটিশনে মামলা নং-৪।

মামলার আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব, উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাইয়ূম, উপজেলার হাবিবপুর ইউনিয়নের নারকিলা গ্রামের শান্ত কুমার দাশ, দামপুর গ্রামের বকুল আহমেদ এবং আনন্দপুর গ্রামের বিপ্লব রায়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরে শাল্লা উপজেলাধীন ভান্ডাবিল হাওরের উপ-প্রকল্পের আওতায় নতুন বৈশাখালী ভাঙ্গা পর্যন্ত ১৪৬ মিটার ডুবন্ত বাঁধের ভাঙ্গা বন্ধকরনও মেরামতের জন্য ২৭ নং পিআইসি তৈরি করা হয়। সেখানে ২৪ লাখ ৭৩ হাজার ১০১ টাকা বরাদ্দ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা কাবিটা নীতিমালা ২০১৭-এর নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের পাশে জমি যার, সেই পাবে পিআইসি। এই নিয়ম না মেনে শাল্লার হাবিবপুর ইউনিয়নের নারকিলা গ্রামের শান্ত কুমার দাশ, উপজেলার দামপুর গ্রামের বকুল আহমেদ এবং আনন্দপুর গ্রামের বিপ্লব রায়কে অবৈধভাবে ও দুর্নীতির মাধ্যমে এই পিআইসির সভাপতি, সদস্য সচিব ও সদস্য করা হয়।

অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন- সেখানে এখনও পর্যন্ত বাঁধের কাজের ২ কিস্তির টাকা পরিশোধ করলেও এবং নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। তাদের পিআইসি দিতে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।

এ ব্যপারে মামলার বাদী হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সদস্য মো. শওকত আলী বলেন, শাল্লার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে শান্ত, বকুল ও বিপ্লবকে পিআইসি দিয়েছেন। অথচ তাদের বাঁধের পাশে কোনো জমি নেই। তাহলে কোন নীতিমালা মেনে কর্মকর্তারা তাদের পিআইসি দিলেন? সরকারের এতগুলো টাকা নিয়ে এভাবে নয়ছয় করার এখতিয়ার কারও নেই। আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি, আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার নাগ মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি আমলে নেন এবং আদালত পরবর্তীতে নির্দেশনা দেবেন।   

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এনইউ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।