ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেগমগঞ্জে ‘ঘুষ’ দাবির প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

  ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
বেগমগঞ্জে ‘ঘুষ’ দাবির প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ঘুষ দিতে অপারগতার জেরে এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার চৌরাস্তায় বিদ্যুৎ অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

 

মারধরের শিকার মো. করিম নুরী (৬৫) দৈনিক সবুজ নিশান নামের একটি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে জেলায় কর্মরত। এ ঘটনায় তিনি বেগমগঞ্জ মডেল থানায় বুধবার সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলী শাহদাত ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলামসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেছেন।

সাংবাদিক মো. করিম নূরী জানান, তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে মো. করিম নূরী উল্লেখ করেন, তার বোনের ছেলে (ভাগনে) বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানতপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রাসেলের (৪৫) ভবনের জন্য বিউবোর বেগমগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেন।  

এরপর থেকে বিউবোর লোকজনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আমাকে অস্বচ্ছ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। বুধবার দুপুরে বিদ্যুৎ অফিসে গেলে মিটার স্থাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য নগদ ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়।

করিম নুরী আরও জানান, কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনের নকশা দেখে একবার ৮টি, আরেকবার ১৬টি এবং সর্বশেষ ২৪টি মিটার বসাতে হবে বলে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী শাহাদাত ইসলামের কক্ষে গেলে সেখানে কথা বলার একপর্যায়ে ঘুষ দাবির বিষয়টি ভাগনেকে কল করে জানানোর সময় কক্ষে থাকা বিউবোর কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা তার গলা টিপে ধরেন ও তাকে মারধর করেন।

এদিকে ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বিউবোর বেগমগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহদাত ইসলাম বলেন, কিছু তথ্য ঘাটতির কারণেই বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তিনি বলেন, আবেদন ছিল ৮ বাসার, আমার লোক গিয়ে দেখল ৪তলা বিল্ডিং ১৬টি ফ্ল্যাট, কিন্তু বাড়ির অনুমোদনে দেখা গেল ৬ তলা তাই ২৪টি মিটার লাগবে বলায় তিনি ভেবেছেন আমরা ঘুষ দাবি করছি।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, নুরী সাহেব (মো. করিম নূরী) অফিসের ভেতরে খুব জোরে জোরে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে ওনার কাছে ঘুষ দাবি করা হয়েছে বলে মোবাইল ফোনে কাউকে জানাচ্ছিলেন। তাই একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। ঘুষ দাবির অভিযোগ ভিত্তিহীন।

মারধর ও ১৭টি বিদ্যুৎ মিটারের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার কক্ষের বাইরে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।