ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে ৮৩৬ পরিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে ৮৩৬ পরিবার

খুলনা: ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ দেওয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৭৯টি ও চতুর্থ পর্যায়ের ৭৫৭টিসহ মোট ৮৩৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন।

এর মধ্যে রূপসা উপজেলায় ৭৫টি, তেরখাদায় ৯০টি, ডুমুরিয়ায় ২০০টি, পাইকগাছায় ৬৬টি, দাকোপে ৭৫টি, বটিয়াঘাটায় ৮০টি, দিঘলিয়ায় ১৮০টি ও ফুলতলা উপজেলায় ৭০টি পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে তার সম্মেলনকক্ষে প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, খুলনা জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের কাজ সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। চতুর্থ পর্যায়ে ঘর নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে  জানানো হয়, ‘ক’ শ্রেণির পরিবার যার জমি ও ঘর কিছুই নেই এমন ভূমিহীন-গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায়-দরিদ্র পরিবার। ‘খ’ শ্রেণির পরিবার যার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ জমির সংস্থান আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার। ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিস্কন্টক খাস জমি, সরকারিভাবে ক্রয়কৃত জমি, সরকারের অনুকূলে কারও দানকৃত জমি অথবা রিজিউমকৃত জমিতে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ২ শতক জমিসহ সেমিপাকা একক গৃহ দেওয়ার মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। খাস জমির সংস্থান না থাকায় খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় ৩.৭০ একর, দিঘলিয়া উপজেলায় ২.৪১৮ একর, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২.০০ একর, ফুলতলা উপজেলায় ৪.১২ একর ও রূপসা উপজেলায় ০.২৪ একরসহ মোট ১২.৪৭৮ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জনানো হয়, খুলনা জেলার মোট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৫২৯টি। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩৫১টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৯০৬টি জমির মালিকানাসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। চলমান চতুর্থ পর্যায়ে তৃতীয় ধাপে বরাদ্দপ্রাপ্ত মোট গৃহের সংখ্যা ১ হাজার ৮১৯টি। বর্তমানে কাজ চলমান ১ হাজার ৬২টি গৃহে ভূমিহীন-গৃহহীন পুনর্বাসনের পর খুলনা জেলায় অবশিষ্ট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার থাকবে ৩৭৬টি।  

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত ব্যারাকে তেরখাদা উপজেলায় ৩০টি, পাইকগাছায় ৭৩টি ও দাকোপ উপজেলায় ৫০টিসহ মোট ১৫৩টি এবং খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য কর্তৃক দাকোপ উপজেলায় দুটি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মুনিম লিংকন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) আতিকুল ইসলাম, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজাসহ প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।