ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিগগিরই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলছে না

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
শিগগিরই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলছে না ফাইল ছবি

ঢাকা: পদ্মা সেতুতে উদ্বোধনের দিনই মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়। কিন্তু উদ্বোধনের পরই দুর্ঘটনা আর মহাসড়কে বিশৃঙ্খল অবস্থার কারণে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায় দুই দিনের ব্যবধানেই।

এ ঘটনার পর থেকে মোটরসাইকেল চালকরা বার বার সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের দাবি জানালেও তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে প্রতিবারই।

ঈদের আগে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল ফের চালু হতে পারে—বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) একাধিক গণমাধ্যমে এমন খবরে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন অনেক মোটরসাইকেল চালক। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এ খবর মনগড়া। খুব দ্রুতই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর সিদ্ধান্ত নেই।

এ বিষয়ে সেতু বিভাগের উপ-সচিব (উন্নয়ন) আবুল হাসান বলেন, মোটরসাইকেল চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আর ইদের আগে মোটরসাইকেল চালু হওয়ার কথাটি মনগড়া কথা।

এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো বৈঠকই হয়নি বলে জানান উপ-সচিব আবুল হাসান।

এ বিষয়ে সম্প্রতি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও জানিয়েছিলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর সিদ্ধান্ত এখন নেই।

সেতু বিভাগের উপ-সচিব (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের বলেন, মোটরসাইকেল চালু সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—এরকম কিছু আমার জানা নেই। চলতি সপ্তাহে কোনো মিটিং হয়েছে, এমন কোনো তথ্যও জানা নেই।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আলতাফ হোসেন সেখ বাংলানিউজকে বলেন, এটা নিয়ে আসলে কিছু জানি না। আমরা কোনো উদ্যোগ নেইনি।  কিছুদিন আগে মাননীয় মন্ত্রী মোটরসাইকেল এখনই না চলাচলের ব্যাপারে বলেছেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, সেতুতে মোটরসাইকেল চলবে কি চলবে না সেটা সরকার (সেতু বিভাগ) সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নই।

যে কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল চালু করার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তিনি হলেন পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস। বাংলানিউজকে তিনি বলেছেন—না না, এ ধরনের কোনো বক্তব্য আমি দেইনি।

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল করা অধিকার, বলছেন মোটরসাইকেল চালকরা।

রাজধানী ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের দূরত্ব মাত্র ৭৫ কিলোমিটার। কিন্তু অপ্রশস্ত সড়ক হওয়ায় যানবাহনে পড়তে হয় জ্যামে।

সোহরাব হোসেন ব্যবসার কাজে ঢাকা আসেন নিয়মিত। তিনি যানজট এড়াতে মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে চাইলেও সেটা পারেন না নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে চলাচল করা অধিকার। কিন্তু দুই-একটি দুর্ঘটনার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যায় সিদ্ধান্ত। বাইকারদের সহজ যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল ঈদের আগে চালু করা হোক।

অপর বাইকার সবুজ হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল চালকেরা তো কর-ট্রাক্স দেয়। তাহলে সব নিয়মের বেড়াজাল তাদের জন্য কেন? লক্কর ঝক্কর গাড়ির বিরুদ্ধে তো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩

এনবি/এমজেএফ/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।