ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘এখন কেউ ঢাকার বাইরে থাকতে চায় না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট| | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
‘এখন কেউ ঢাকার বাইরে থাকতে চায় না’ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সহকারী সচিব হওয়ার পর এখন কেউ ঢাকার বাইরে থাকতে চায় না। একটি কারণে ঢাকার বাইরে মফস্বলে এলাকায় থাকতে চায় সেটা হচ্ছে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয়, উচ্চ পর্যায়ের পদোন্নতির জন্য।

আর কেউ ঢাকার বাইরে যেতে চায় না। তাদের সামর্থ্য বেড়েছে। আগে বেতন ছিল ৪-৫ হাজার টাকা। এখন বেতন হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টাকা।  

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ‘ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে বাড়ির মূল্য ও জীবন যাত্রার মান বেশি হলে কেউ থাকতে চাইবে না। ১৯৯৬ সালে যখন আমি প্রথম সংসদ সদস্য হই তখন আমার বন্ধুরা সহকারী সচিব ও কলেজের প্রফেসর হয়েছিল, তখন তারা বলতেন ঢাকার বাইরে অমুক খানে, তমুক খানে আমাকে দেন। তখন তাদের বেতন কম ছিল। তখন তারা ঢাকায় ঘর ভাড়া দিয়ে থাকতে পারতো না। জীবনযাত্রার মান তখন খুব ব্যয়বহুল ছিল।

মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে থাকতে হলে কত লোক বসবাস করবে তা নির্ধারণ করতে হবে। কেন গুলশানের পানির দাম বেশি হবে না ? ইউকেতে পানি খাবেন ৫০ টাকা দিয়ে। এখানে ১০০০ লিটার পানির দাম ১৫ টাকা। আপনি গুলশানে থাকেন মাসে কয়েক কোটি টাকা আপনার রোজগার। গুলশানে বসবাস করবেন আর ভর্তুকি দিয়ে পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন তা হবে না।

টোকিও শহরে বসবাসের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, টোকিও শহরে যারা বসবাস করে তাদের দুই লাখ টাকা বেশি খরচ করতে হয়। যারা গুলশানে বসবাস করেন তাদের অবশ্যই জীবনযাত্রার খরচ বাড়াতে হবে। সারা বাংলাদেশ উন্নত করতে হবে। দেশের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান করে এগোতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী ও ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
এমএমআই/জেএই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।