ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা, জাতীয়করণ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা, জাতীয়করণ দাবি

ঢাকা: এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

সারাদেশ থেকে আসা প্রায় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য রয়েছে। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ হারে কেটে রাখলেও বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান।  

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন বৈষম্য আছে বলে মনে হয় না। শিক্ষক কর্মচারী নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগ এনটিআরসিএ সুপারিশ করলেও নিয়োগ দিতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বড়ির উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগও রয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহপ্রধান কর্মচারী নিয়োগ কমিটির হাতে থাকায় নিয়োগ বাণিজ্যের কথা হরহামেশাই শোনা যায়। এই বৈষম্য ও দুর্নীতি দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ জরুরি।

তিনি আরও বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। মেধাবীরা এ পেশায় আসবে ফলে স্বল্প খরচে সকল নাগরিক একই মানের মানসম্মত শিক্ষা পাবে। শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হাস পাবে। প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসবে। এতে অপচয় ও দুর্নীতি রোধ হবে। বিনিময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিরা চাকরির নিশ্চয়তা পাবেন। শিক্ষা ব্যয় কমবে অভিভাবকদের এবং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায কাঙ্খিত পরিবর্তন আসবে।

এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো), বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম, এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদ, বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমাজ, ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতি, জাতীয়করণ মঞ্চ, মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষক সমিতি, বদলী প্রত্যাশী '৭১, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদসহ বিভিন্ন শিক্ষক কর্মচারী সংগঠনের সমন্বয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
এসসি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।