ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভবন নেই নীলফামারীর ৭ ইউপিতে!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
ভবন নেই নীলফামারীর ৭ ইউপিতে!

নীলফামারী: গ্রামের মানুষের জন্য সবচেয়ে কাছের প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। এখানে বিভিন্ন সেবা পেয়ে থাকেন তারা।

কিন্তু নীলফামারীর ছয় উপজেলার ৬০ ইউপির মধ্যে সাতটিতে নেই কমপ্লেক্স ভবন।  

পরিত্যক্ত, জরাজীর্ণ ও অপরিসর কক্ষে কোনোমতে চলছে দৈনন্দিন সেবা কার্যক্রম। এতে জনপ্রতিনিধি ও পরিষদের কর্মীদের যেমন সমস্যায় পড়তে হয়, তেমনি ভোগান্তি পোহাতে হয় সেবা গ্রহীতাদেরও।

জেলার জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউপির জরাজীর্ণ ভবনে প্রতি বছর রঙের প্রলেপ দিয়েও ঢাকা যাচ্ছে না ভঙ্গুর দশা। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও সচিব বসছেন একই রুমে। ফলে সেবা পেতে ঘটছে বিঘ্ন।

একই অবস্থা সদর উপজেলার ইটাখোলা, কচুকাটা, জলঢাকা উপজেলার খুটামারা, ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়িসহ সাতটি ইউনিয়নের। নতুন ভবন না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে সঠিক সময়ে দেখা মিলছে না উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ভেটেনারি সহকারী, ইউনিয়ন সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের।

এলাকাবাসীরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে এসে সেরকম অবকাঠামো না থাকায় প্রতিটি কাজে মানুষকে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।

এদিকে নীলফামারী সদরের ইটাখোলা ইউপির কার্যক্রম চলছে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবনে। নেই গ্রাম আদালত। ছোট একটি কক্ষে কোনো রকমে চলছে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের কার্যক্রম। চেয়ারম্যান, সচিব ও সদস্যদের আলাদা বসার কথা থাকলেও এক কক্ষেই বসতে হয় সবাইকে। এছাড়াও ইউপি ভবন না থাকায় জন্ম ও মৃত্যুসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনসহ নানা দাপ্তরিককাজে সেবাপ্রাপ্তিতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

এ ব্যাপারে ইটাখোলা ইউপির চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ্ ফকির বলেন, ইটাখোলা ইউপির ভবন অত্যন্ত জরুরি ও প্রয়োজনীয়। ভবন না থাকার কারণে এই ইউনিয়নে কাঙ্ক্ষিত সেবা আমরা জনগণকে দিতে পারছি না। আমরা যখন ভিজিএফের পণ্য দিতে যাই, তখন সব থেকে বড় সমস্যায় পড়তে হয়। যেহেতু, জেলা শহর থেকে এই পরিষদটি অত্যন্ত কাছে, সেহেতু আমার বিনীত আবেদন অতি দ্রুত এখানে একটি ভবন দেওয়া হোক।

নীলফামারী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) সাইফুর রহমান বলেন, ইউপির ভবন না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া-নেওয়ায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। যে সব ইউনিয়নে ভবন নেই সেগুলোর স্টিমেশন করে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন এলে আমরা ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তবে বিষয়টির দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা রাখছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।