ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

যে খাবার খেলে বন্ধ হবে নাক ডাকা 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
যে খাবার খেলে বন্ধ হবে নাক ডাকা  সংগৃহীত ছবি।

ঘুমানোর সময় নাক ডাকার সমস্যা অনেকেরই থাকে। এতে করে আপনার সঙ্গী বিরক্ত হতে পারে।

হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঘুম ভালো না হলে কারো কি আনন্দ হয়? তবে এ সমস্যা দূর করা যায়। খাদ্যাভাসের পরিবর্তনে এ সমস্যা দূর হবে। আগে জেনে নেই আমাদের নাক ডাকার কারণ, নাক ডাকা তখন বেড়ে যায় যখন আমাদের গলার মাংসপেশিগুলো শিথিল হয়ে যায়, জিহ্বা পেছন দিকে চলে যায় এবং কণ্ঠনালি সরু হয়ে যায়। এর ফলে কণ্ঠনালির দেওয়ালগুলো কাঁপতে শুরু করে আর নিশ্বাস নেওয়ার সময় নাকে আওয়াজ হয়। এবার আসুন জেনে নিই যে খাবার খেলে বন্ধ হবে নাক ডাকা—

আমদের অনেকের ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি থাকে। এটা আমাদের অনেকের অজান্তেই থাকে। গরুর দুধে এই ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি অনেক বেশি পরিমাণে হয় এবং তার থেকে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়, এর ফলে ন্যাসাল প্যাসেজ স্ফীত হয়ে উঠতে পারে। এর থেকেই নাক ডাকতে পারে। এছাড়াও গরুর দুধে প্রচুর পরিমাণে মিউকাস থাকায় তা রেসপিরিটরি সিস্টেমের জন্যও ভালো নয়। সোয়া মিল্কে এসব সমস্যা নেই।

চা পান করলে কনজেশন এবং শ্লেষ্মা কমে। তার ফলে নাক ডাকা কমে। চা খাবার সময় যে বাষ্প নির্গত হয় তা ন্যাসাল প্যাসেজকে প্রশমিত করে। এটি মিউকাসকে তরল করে। এর ফলে নাক ডাকার সমস্যার উপশম হয়।

মধু আপনার কণ্ঠনালিকে মসৃণ করে। মধুর মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি দুই ধরনের গুণই আছে। যা স্বরনালিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমের আগে চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে জিভের তৃপ্তির পাশাপাশি নাক ডাকাও কমবে।

অনেক সময়ই নাক ডাকার কারণ হলো ইনফ্ল্যামেশন। এর ফলে আমদের কন্ঠনালি বা নাকে যথেষ্ট পরিমাণে হাওয়া চলাচলের জায়গা থাকে না। হলুদ অত্যন্ত ক্ষমতশালী অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কারকুমিন যা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন সাপ্লিমেন্ট হিসেবে হলুদ খেলে খুব একটা কাজে লাগে না। যেকোনো পানীয়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

মাছ খাওয়ার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রেড মিট কম খাওয়া। রেড মিটের স্যাটুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা গলার টিস্যু আর সাইনাসকে স্ফীত করে তোলে। অন্যদিকে মাছ খেলে (বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ) তার থেকে যে ফ্যাটি অ্যাসিড নির্গত হয়, তা ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করে।  

এটাকে নাক ডাকার সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ মানেন অনেকেই। পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি পদার্থ  থাকে, যা ন্যাসাল প্যাসেজকে পরিষ্কার রেখে বেশি পরিমাণে হাওয়া চলাচলে সাহায্য করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।