ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

পাকস্থলীর সমস্যা থাকলে রোজায় যা মেনে চলবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
পাকস্থলীর সমস্যা থাকলে রোজায় যা মেনে চলবেন

যাদের গ্যাসট্রাইটিস, আলসার ইত্যাদি অসুখ আছে, তাদের রোজায় বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। গ্যাসট্রাইটিস হচ্ছে পাকস্থলীর গাত্রে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহজনিত অসুখ।

আর আলসার হচ্ছে পাকস্থলীর গাত্রে ঘা-বিশেষ। উভয় রোগের ক্ষেত্রেই রোজায় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

ইফতারের সময় অল্প অল্প করে খেতে হবে। পেট পুরে খাওয়া চলবে না। একটু বিরতি দিয়ে দিয়ে পানি পান করতে হবে। ইফতারে যত হালকা খাবার খাবেন, পরিপাকতন্ত্র ততই ভালো থাকবে। মাগরিবের নামাজের পর কিন্তু তারাবির নামাজের আগেই মূল খাবার খান। রাতে আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই। সাহরিতে অবশ্যই খাবেন। রোজার সময় ঝাল, মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

এড়িয়ে চলুন

* যাদের এসিডিটি, আলসার, বুকজ্বলা ইত্যাদি সমস্যা আছে বা রোজা রাখলে অনুভব করেন, তারা ভাজাপোড়া, চর্বিযুক্ত খাবার, টক ফল যেমন—লেবু, আঙুর, কমলা ও টমেটোযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

* অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। কৌটা বা টিনে প্রক্রিয়াজাত খাবারে সাধারণ উচ্চমাত্রার প্রিজারভেটিভ বা খাদ্য সংরক্ষক থাকে, যা এসিডিটি, বুকজ্বলা, আলসারের সমস্যা বাড়ায়।

* অতিরিক্ত চিনিযুক্ত ও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার (যেমন বিস্কুট) এড়িয়ে চলুন।

* সাহরি ও ইফতারে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিন। দ্রুত ইফতার ও যতটা সম্ভব দেরিতে সাহরি খান।

* এড়িয়ে চলুন চা, কফি, কোল্ড ড্রিংকস।

* ধূমপানের সঙ্গে পাকস্থলীর প্রদাহ ও আলসারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। ধূমপান পুরনো আলসারের ক্ষত বাড়ায়, নতুন আলসার সৃষ্টি করে। তাই এটি পরিহার করুন।

খাদ্যতালিকায় রাখুন

* আঁশযুক্ত কার্বোহাইড্রেট যেমন—লাল চাল, লাল আটা, বিট, যব ইত্যাদি। এগুলো খেলে ক্ষুধাও খুব কম অনুভূত হয়।

* ইফতারে মিষ্টি বা উচ্চ চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে খেজুর খান। কারণ খেজুরে আছে চিনি, আঁশ, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান।

* কলা কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস।

* তেলেভাজা খাবারের বদলে ওভেনে গ্রিল করা খাবার খান।

* সাহরিতে এক গ্লাস দুধ খেলে পাকস্থলীর প্রদাহ ও আলসারের উপসর্গ কমে যায়।

মনে রাখুন

* খাবার চিবিয়ে খান। তাড়াহুড়া করে খাবার খাবেন না।

* সাদা চালের ভাত ও সাদা আটার তৈরি রুটি-পাউরুটি না খাওয়াই ভালো।

* পেটে গ্যাস, বারবার টক ঢেকুর ওঠা, বমি ও বমিবমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, ক্ষুধামান্দ্য, পেট ব্যথা, বুকজ্বলা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে বুঝতে হবে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা হচ্ছে।

সতর্কতা অবলম্বনের পরও যদি এসিডিটি, বুকজ্বলা ইত্যাদি সমস্যা হতেই থাকে, তবে ওষুধের সাহায্য নিন। তীব্র ব্যথা, বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, পায়খানা কালচে হওয়ার মতো লক্ষণগুলো থাকলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।