ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

প্রেমের জেরে কলেজছাত্র খুন: ৩ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
প্রেমের জেরে কলেজছাত্র খুন: ৩ জনের যাবজ্জীবন

ঢাকা: সাড়ে ১১ বছর আগে রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রেমের জেরে উত্তরা কলেজ টাউনের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম ওরফে কাজল হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফাতেমা ইমরোজ ক্ষণিকার আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- এস এম হিরন খান, আমির হোসেন ও জাকির হোসেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।  

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার বাদী ভিকটিমের বাবা মো. হানিফ ওরফে বাবুল বিষয়টি জানান।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ তিনি বলেন, আসামিদের ফাঁসি হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু আদালত তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিচার পেয়েছি। এতেই আমরা খুশি।

জানা যায়, কাজলের সঙ্গে এস এম হিরন খানের মেয়ে প্রমির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। কাজলের বয়স কম এবং উপার্জন না থাকায় মো. হানিফ বিয়েতে রাজি ছিলেন না। আর হিরন খানের ইচ্ছে ছিল তার মেয়েকে ভাগ্নের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার। কারণ তারা ছিল ধনী।  

এ কারণে তিনি কাজল ও তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। নিজের মেয়ে বারণ করা সত্ত্বেও ফল না পেয়ে হিরন খান কাজলের প্রতি ক্ষিপ্ত হন। ২০১০ সালের ২৯ মে বিকেলে নিজের মেয়েকেও মারধর করে। কাজলকে বিষয়টি জানায় প্রমি।  

তখন কাজল প্রমির বাসার সামনে চলে যায়। পরে প্রমিই কাজলের বাসায় ফোন দিয়ে তাকে নিয়ে যেতে বলে। প্রমির বাসায় যাওয়ার সময় কাজলের পরিবার তাকে প্রমির সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। সেখানে হিরন খান, জাকির ও সিরাজ উপস্থিত ছিল। এ সময় তার বাবা কাজলকে ডাক দিলে সে দৌঁড়ে চলে যায়। তখন তিনি মনে করেন কাজল বাসায় চলে গেছে। কিন্তু বাসায় গিয়ে তিনি কাজলকে দেখতে পান না।  

এরপর ৩০ মে খিলক্ষেত থানা পুলিশে ফোন দিয়ে জানায় কাজল অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন কাজল জানায়, হিরন খান, জাকির, আমির ও সিরাজ ছুরিকাঘাত করে তাকে রাস্তায় ফেলে দেয়। ২৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২১ জুন মারা যায় কাজল।

কাজল চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার বাবা হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। সে মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৬ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।