ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আদালতে জবানবন্দি, ছাড়া পেলেন দিহানের বাসার দারোয়ান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
আদালতে জবানবন্দি, ছাড়া পেলেন দিহানের বাসার দারোয়ান

ঢাকা: মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহানের বাসার দুলাল মিয়া সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এরপর তাকে থানায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

কলাবাগান থানার ডিউটি অফিসার পুলিশের উপপরিদর্শক এইচএম ইমন বাংলানিউজকে বলেন, আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর দুলালকে থানায় আনা হয়। এরপর সে যেখানে কাজ করে ওই বিল্ডিংয়ের মালিক সমিতির সভাপতিকে ফোন করে তার প্রতিনিধির জিম্মায় দুলালকে সন্ধ্যায় হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাগাবান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজামান বলেন, আনুশকাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দিহান আদালতে ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাক্ষী হিসেবে দুলাল মিয়াকে হেফাজতে নেই। দুলাল আমদের কিছু তথ্য দিয়েছেন, তবে তার সাক্ষ্য দেওয়ার স্বার্থে এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।

পুলিশি হেফাজতে দুলালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সকাল থেকেই দুলাল দিহানদের বাসার গেটে দায়িত্বরত ছিলেন। ওই দিন বাসায় দিহান ছাড়া আর কেউ নেই বলেও তিনি জানতেন। দুপুরে দিহানদের বাসায় একটি মেয়েকে যেতে দেখেন তিনি। আনুশকা বাসার ভেতরে যাওয়ার আনুমানিক এক ঘণ্টার মধ্যে ওই মেয়েকে অচেতন অবস্থায় সঙ্গে নিয়ে দিহান বের হয়ে আসেন। এরপর গাড়িতে করে চলে যায়। আনুশকা যখন দিহানদের বাসায় যায় তখন সে একাই ছিল এবং তাকে হাসপাতালের নেওয়ার সময় দিহান ছাড়া আর কেউই সঙ্গে ছিল না।

দিহানের বাসার সিসিটিভি ফুটেজসহ আশ-পাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

রাজধানীর সোবহানবাগে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন। গত ৭ জানুয়ারি কোচিংয়ের নোট আনতে যাওয়ার কথা বলে কলাবাগানে বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানের বাসায় যায়।

সেখানেই ‘ধর্ষণের’ শিকার হয়ে মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়লে আনুশকাকে নিজ গাড়িতে করে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান দিহান। হাসপাতালে ভর্তির আগেই সেখানকার চিকিৎসক আনুশকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একমাত্র আসামি দিহানকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।