ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের, ইউপি সদস্যের অর্থদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের, ইউপি সদস্যের অর্থদণ্ড

বরিশাল: মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করায় বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.এইচ.এম মাহমুদুর রহমানের আদালত এই দণ্ড দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকট মামুন চৌধুরী।

তিনি বলেন, মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত। ওদিকে ইলুহার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. নুরুজ্জামান মিথ্যা তথ্য আদালতে উপস্থাপন করায় তাকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন বিজ্ঞ আদালত।

এজাহারের বরাত দিয়ে এই আইনজীবী বলেন, নুরুজ্জামান সিকদার ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ইলুহার গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক তালুকদার, মিলন মিস্ত্রী, ফারুক মিস্ত্রী ও মহিবুল্লাহ বেপারীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সিকদার বাংলাদেশে কৃষি ব্যাংক বাইশারী শাখা থেকে ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর কর্মসৃজন প্রকল্পের ৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ওই টাকা প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বিতরণের জন্য নিয়ে যেতে চাইলে মামলার আসামিরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।  

অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিচারক সংশ্লিষ্ট ইলুহার ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে তদন্তের নিদের্শ দেন। শহিদুল ইসলাম ওই বছরের ৯ অক্টোবর চার আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।  

মামলার বিচার কার্য শুরু হলে আদালত বাংলাদেশে কৃষি ব্যাংক বাইশারী শাখার কাছে ইউপি সদস্য কর্তৃক টাকা উত্তোলনের বিবরণ জানতে চান। চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর (সোমবার) ব্যাংক থেকে জানানো হয়, মামলার এজাহারে উল্লেখিত তারিখে বাদী ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান কোনো টাকা উত্তোলন করেননি।

বিষয়টি মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ধার্য তারিখে আদালতের বিচারকের নজরে আনা হলে, তিনি মামলা থেকে চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সিকদারকে ৩৫ হাজার টাকা জারিমানার নিদের্শ দেন। রায়ের সময়ে দণ্ডিত ইউপি সদস্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবি হুমায়ুন কবির বলেন, ইউপি সদস্য তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে সিদ্দিক তালুকদারকে ঘায়েল করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় সিদ্দিকুর রহমানকে ২০দিন কারাভোগ করতে হয়েছিল। ইচ্ছে করলে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ এনে সিসিদ্দকুর রহমানসহ অন্যরা ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এখন মামলা দায়ের করতে পারেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
এমএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।