ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দেশের বিদেশি কর্মীদের তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
দেশের বিদেশি কর্মীদের তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট

ঢাকা: বাংলাদেশে ব্যবসা ও কাজ করা কতজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন, কতজনের কাজের বৈধ অনুমতিপত্র (ওয়ার্ক পারমিট) আছে এবং কতজন বিদেশিকর্মী আয়কর দেন এসব তথ্য আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), এনজিও ব্যুরো এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেপজা) এ প্রতিবেদন দিতে হবে।

গত ১২ ডিসেম্বর এ রিট আবেদন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজুর নাহিদ।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

রুলে বিদেশি কর্মীদের বাংলাদেশে কাজের ক্ষেত্রে আইন অনুসারে ওয়ার্ক পারমিট দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া বিদেশি কর্মীদের কাজ করার ক্ষেত্রে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে বিডা, এনজিও ব্যুরো এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাবদিতে বলা হয়েছে।

১৯ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের ‘বাংলাদেশে এত বিদেশি কর্মী কেন’ শীর্ষক কলাম এ রিটে যুক্ত করা হয়।

ওই কলামে বলা হয়, একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুসারে বিদেশি কর্মীরা বাংলাদেশ থেকে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছেন। খবরটির উৎস প্রধানত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)। গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সংস্থা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও শিল্প বণিক সমিতি বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে।  

চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, যেকোনো বিদেশি বাংলাদেশে কাজ করতে চাইলে বিডা থেকে ওয়ার্ক পারমিট নেওয়ার বাধ্যতামূলক বিধান রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বেসরকারি এমনকি কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে লক্ষণীয় হয় যে, এ ধরনের প্রায় ৫ লাখ বিদেশি বাংলাদেশে কাজ করছেন। অথচ বিডা থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ১ লাখ। তাদের আয়ের ওপর সরকার যথাযথভাবে করও পাচ্ছে না। কাউকে বেতন দেওয়া হচ্ছে বিদেশে। আবার এ দেশেও অনেককে ডলারে বেতন দেওয়া হয়। অথচ আয়কর বিবরণীতে তারা এটা টাকার অঙ্কে দেখান। আর নিবন্ধনহীনরা তো কিছুই দেখান না। আরও বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া যায় যে সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি কর্মী নিয়োগে অনেক ক্ষেত্রে বিডা থেকে অনুমতি নেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
ইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।