ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নিজাম হাজারীর এমপি পদের রিটের ওপর রায় ঘোষণা চলছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৮
নিজাম হাজারীর এমপি পদের রিটের ওপর রায় ঘোষণা চলছে

ঢাকা: ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা নিয়ে জারি করা রুলের ওপর রায় ঘোষণা শুরু করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক হাইকোর্ট বেঞ্চে (তৃতীয় বেঞ্চ) এ রায় ঘোষণা শুরু হয়।

আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে রয়েছেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সুজন।

রিট আবেদনের পক্ষে রয়েছেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন মণ্ডল।  

২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. এমদাদুল হক তার রায়ে রুল মঞ্জুর করে নিজাম হাজারীর পদে থাকাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। অপর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। অর্থাৎ তার রায়ে নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ। এরপর নিয়ম অনুসারে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তৃতীয় বেঞ্চে পাঠান।

২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
 
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। ’
 
পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।

রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট এ রুলের শুনানি শেষে ১৭ আগস্ট সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদ থাকবে কি-না, সে বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

তবে বিচারিক আদালতের একটি নথি না আসায় রায়ের দিন পিছিয়ে ২৩ আগস্ট ধার্য করা হয়। পরে কয়েক দফা পিছিয়ে ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর বিভক্ত রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। নিয়ম অনুসারে  রুলটির নিষ্পত্তির জন্য একক বেঞ্চ রায়ের দিন ঠিক করা হয়।  

রিট আবেদনে বলা হয়েছিলো, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।

সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
ইএস/এসআই/এইচএ/

** নিজাম হাজারীর এমপি পদ নিয়ে রিটের রায় বৃহস্পতিবার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।