শিশু জিহাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিবাদীদের এ নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম।
রেলওয়ের মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ও পরিচালক (অপারেশনাল মেইটেন্যান্স) বরাবরে এই নোটিশ পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, ৯০দিনের মধ্যে ২০লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের রায় ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর প্রকাশিত হয়। বিবাদীরা ২২ অক্টোবর ওই রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি তোলেন। সে হিসেবে ৯০দিনের সময়সীমা পার হয়ে গেছে। এছাড়াও আপিল বিভাগে রায় স্থগিতের আবেদনেও সাড়া দেননি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এ কারণে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাসার কাছে শাজাহানপুর রেলওয়ে মাঠের পাম্পের পাইপে পড়ে যায় জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল তিনটার দিকে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ‘চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
পরে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করা হয়। যা এখন গত বছরের ৯ অক্টোবর প্রকাশিত হয়।
রায়ে চার বছরের শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা (মোট ২০ লাখ টাকা) ৯০ দিনের মধ্যে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
ইএস/এসএইচ
