ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ৮৩ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সম্প্রতি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সিএমএম আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জিন্নাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৮ নভেম্বর রমনা মডেল থানার এ মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৮৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ মামলার অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ২০২৩ সালের গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
এ ঘটনায় রমনা মডেল থানার তৎকালীন এসআই মফিজুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে। পরে এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর এ মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৮৩ জনের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলার সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা পূর্বের ন্যায় বক্তব্য প্রধান করেন যে, অত্র মামলায় আসামিরা জড়িত কি না, তা সাক্ষীরা জানেন না। এ ছাড়াও, অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হলেও এজাহারনামীয় গ্রেপ্তার ও সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
কেআই/এমজেএফ