ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

২ ওসি ও ১ এসআই'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
২ ওসি ও ১ এসআই'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

ঢাকা: নিখোঁজ সাতক্ষীরার হোমিও চিকিৎসক মোখলেছুর রহমান জনির নিখোঁজের ঘটনায় জিডি না নেওয়ার অবহেলায় দু'জন ওসি এবং এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে করা পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র  হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদেশে আদালত বলেছেন, জিডি করতে চাইলে তা নিতে হবে এবং জনির স্ত্রীর এ বিষয়ে আদালতে নালিশি মামলাও করতে পারবেন।

তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ও পরবর্তী ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা এবং এসআই হিমেল।

মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী জেসমিন নাহার বলেন, ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট রাতে শহরের নিউমার্কেটে গিয়েছিলেন জনি। এ সময় এসআই হিমেল জনিকে আটক করেন। তাকে থানায় তিনদিন রাখা হয়। সে সময় প্রতিদিন থানায় গিয়ে জনিকে খাবার দিয়ে আসতেন জেসমিন। কিন্তু চতুর্থ দিন সকালে গিয়ে আর স্বামীর দেখা পাননি তিনি। তখন এসআই হিমেল জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও স্বামীর খোঁজ পাননি তিনি। পরে গত বছরের ৬ মার্চ হাইকোর্টে রিট (হেভিয়াস কর্পাস) করেন জেসমিন। এরপর হাইকোর্ট রুল জারি করে পুলিশকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

দু’দফা আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে জনিকে আটক করেনি বলে জানায় পুলিশ। পরে হাইকোর্ট ওই বছরের ৯ মে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা নিতে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন। সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল্লাহ মাহমুদ তদন্ত শেষে ২৯ জুন হাইকোর্টে এনিয়ে প্রতিবেদন জমা দেন।

ওই প্রতিবেদনে এ ঘটনার সঙ্গে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেন, সদর থানার তৎকালীন ওসি এমদাদুল হক শেখ ও এসআই হিমেল হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য জড়িত আছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তী ১৬ জুলাই জনির নিখোঁজের ঘটনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে দিয়ে করার পদক্ষেপ নিতে আইজিপি নির্দেশ দেন। সে অনুসারে পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে জিডি নিতে সাতক্ষীরার সদর থানার কর্তব্যরতদের অবহেলার কথা উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।
 
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মতিয়ার রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।