ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ছয়মাসে নারী-শিশু মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
ছয়মাসে নারী-শিশু মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

নির্ধারিত সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা নিষ্পত্তি করতে না পারলে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে পিপি ও তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে দাখিলের জন্য আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ঢাকা: নির্ধারিত সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা নিষ্পত্তি করতে না পারলে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে পিপি ও তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে দাখিলের জন্য আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা ছয়মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান (৩১ ক) রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি না হলে কেন হয়নি তার কারণ উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে একমাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোরও বিধান রয়েছে। একইসঙ্গে মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকেও অনুরূপ প্রতিবেদন সরকারের কাছে দাখিলের নির্দেশনা রয়েছে।

এ বিধানটিও পালনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩১(ক) ধারা যদি অনুসরণ করা হয়, তাহলে এ আইনে দায়েরকৃত অর্ধেক মামলা এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি সম্ভব। আইন অনুসারে কারোরই দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ, আইনটি এমনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে, যেখানে ছয়মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হলে বিচারক, পিপি ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তার ব্যাখ্যা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মিলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। ঘটনার দিনই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ওই বছরের শেষের দিকে মামলাটি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য যায়। গত ২১ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অভিযোগ গঠনের পর সাত মাসেও কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আইন অনুসারে ১৮০ দিনের মধ্যে মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়ায় আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী কুমার দেবলু দে।

গত ০১ নভেম্বর ওই জামিনের আবেদনের শুনানিকালে আইনের ৩১(ক) ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়।

এরপরই হাইকোর্ট দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং বিধান প্রতিপালন করা হয়েছে কি-না তা প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে সরকারকে নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের পর আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের পর সোমবার আদেশ দেন হাইকোর্ট।

পরে আইনজীবী কুমার দেবুল দে বলেন, নির্ধারিত সময়ে মামলার নিষ্পত্তি করতে না পারলে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে পিপি ও তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে দাখিলের জন্য আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া আসামি মিলাদ হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তার মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।