ঢাকা: অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালানকারীদের নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন উচ্চ আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিটের রায়ে কয়েক দফা গাইডলাইন দিয়েছেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত বছরের ২৯ আগস্ট দেওয়া ওই অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ে অনলাইনে ব্যবসা নিয়ে ৯ দফা গাইডলাইন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেগুলো হলো-
এক. সবাইকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে। অনলাইন মালিক এবং ভোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে; দুই. অনলাইন ব্যবসা পরিচালনায় আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ আইনের সমান সুরক্ষা লাভের অধিকারী হবে; তিন. প্রতিটি নাগরিকের যেকোনো বৈধ ব্যবসা পরিচালনার অধিকার থাকবে এবং আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া তার ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না; চার. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের উচিত সব অনলাইন ব্যবসায়ী/মালিক/সদস্যের নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তাদের অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেওয়া; পাঁচ. এটা নিশ্চিত করতে হবে যে কেউ কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাদের অননুমোদিত অনলাইন ব্যবসা চালাতে, এমনকি শুরু করতে পারবে না। কোনো পোশাকের খুচরা বিক্রেতা যেন বিদেশি মূল পণ্যের প্রতিলিপি তৈরি করতে এবং নকল পণ্যগুলোকে আসল হিসেবে বিক্রি করতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার না করে তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য; ছয়. সব ধরনের অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রশাসন, মালিক এবং ভোক্তাদের ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে যাচাই করার বিষয়টি আইনি পরিকল্পনায় নিশ্চিত করতে হবে; সাত. অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মতো সংশ্লিষ্ট সরকারি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে; আট. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, অসাধু অনলাইন ব্যবসায়ীদের প্রতারণার বিষয়ে গ্রাহকদের কেনাকাটা সম্পর্কে সচেতন করতে এবং অনুমোদন/নিবন্ধন ব্যতীত অনলাইন দোকান বা অনলাইন উদ্যোগ বা অনলাইন সরবরাহকারীদের কাছ থেকে গ্রাহকদের কোনো পণ্য কেনা উচিত নয়; নয়. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উচিত অসাধু অনলাইন ব্যবসায়ীদের অপরাধের বিচার করার জন্য ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০০৯-এ প্রয়োজনীয় আইনের বিধান সন্নিবেশ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৫
ইএস/এমজে