ঢাকা, রবিবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮ রমজান ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ সাতজন কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ সাতজন কারাগারে প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমানসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক সাতজনকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।  

কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান রিয়েল খান, সাজিদুল ইসলাম তাহমিদ, শাহাদাত হোসেন, মীর ফাহাদ আহমেদ উৎস, ছাব্বির আহম্মেদ আবির ও ফারহান।

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে পৃথক দুই আবেদনে সাতজনকে কারাগারে ও সাতজনকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক মোহাম্মদ মাসুম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের অফিস সন্দেহে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এ সময় তিন লাখ টাকা ও চারটি কম্পিউটার লুট করা হয় এবং অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। আটকদের কাছ থেকে নগদ ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পিয়ন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন।  

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৭ মার্চ পান্থপথের ত্রিধারা টাওয়ারের তৃতীয় তলায় কাবিকো কনস্ট্রাকশনে এজাহারনামীয় সব আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে সাতজন আসামি পরিকল্পিত ও দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ শুরু করে।  

তাদের পরিচয় জানতে চাইলে আসামিরা বলেন, তোর মালিক শেখ কবিরকে অফিস চালাতে হলে চাঁদা দিতে হবে। এ সময় বাদী প্রতিবাদ করলে আসামিরা তৎক্ষণাৎ অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং অফিসে থাকা চারটি ডেস্কটপ যার মূল্য দুই লাখ টাকা, অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়।  

বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বাদীকে উদ্ধার করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৫
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।